অন্ধকারের দেবতা: পৃথিবীর কাছে আসছে অ্যাস্টেরয়েড Apophis, প্রযুক্তির নতুন দিগন্তের সন্ধানে

এপ্রিল ২০২৯-এ পৃথিবীর কাছে আসতে চলেছে 99942 অ্যাপোফিস নামক একটি অ্যাস্টরয়েড। এটি প্রাচীন মিশরের অন্ধকার ও বিশৃঙ্খলার দেবতার নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়েছে এবং এটি পৃথিবীর ৩২,০০০ কিলোমিটার (২০,০০০ মাইল) কাছে পাস করবে। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই ঘটনার ফলে অ্যাস্টরয়েডের পৃষ্ঠে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই ঘটনা তাদের জন্য একটি অনন্য সুযোগ তৈরি করবে, যা দিয়ে তারা কাছে আসা অ্যাস্টরয়েডগুলির উপর পূর্বের তুলনায় আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। অ্যাপোফিসের ঘূর্ণনেও পরিবর্তন আসতে পারে, যা ভবিষ্যতে গবেষণায় সাহায্য করবে।



২০২৯ সালের এপ্রিল মাসে পৃথিবীর সাথে একটি কাছাকাছি সাক্ষাৎ ঘটবে অ্যাস্টেরয়েড 99942 আপোফিসের। প্রাচীন মিশরীয় দেবতা আপোফিসের নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়েছে, যা অন্ধকার ও বিশৃঙ্খলার সাথে সম্পর্কিত। আপোফিস পৃথিবী থেকে ৩২,০০০ কিলোমিটার (২০,০০০ মাইল) দূরত্বে অতিক্রম করবে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স ল্যাবরেটরির সাম্প্রতিক সিমুলেশন অনুসারে, এই ঘটনাটি পৃথিবীর গ্র্যাভিটেশনের প্রভাবে অ্যাস্টেরয়েডের পৃষ্ঠে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

সারফেস ডিস্টার্বেন্স প্রিডিক্টেড বাই সিমুলেশন

এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন প্ল্যানেটারি বিজ্ঞানী ড. রোনাল্ড বলুজ এবং এটি প্রকাশিত হয়েছে প্ল্যানেটারি সায়েন্স জার্নালে। গবেষণায় বলা হয়েছে, আপোফিসের পৃথিবীর নিকটবর্তীতা তার পৃষ্ঠে সিসমিক ডিস্টার্বেন্স তৈরি করতে পারে। এই প্রভাবগুলি পৃথিবী থেকে পরিমাপযোগ্য পৃষ্ঠগত আন্দোলন ঘটাতে পারে, যা বিজ্ঞানীদের জন্য কাছের অ্যাস্টেরয়েডগুলি পর্যবেক্ষণের একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করবে। অ্যাস্টেরয়েডটির আকার প্রায় ৩৩৫ মিটার (১,১০০ ফুট) এবং এটি ২০০৪ সালে আবিষ্কারের সময় একটি সম্ভাব্য সংঘর্ষের কোর্সে ছিল বলে মনে করা হয়েছিল। তবে বর্তমান বিশ্লেষণে নিশ্চিত হয়েছে যে, ভবিষ্যতে সংঘর্ষের কোনো হুমকি নেই।

পৃথিবীর প্রভাবের ফলে অ্যাস্টেরয়েডের ঘূর্ণনের পরিবর্তন

স্পেস ডট কমের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অপর একটি প্রত্যাশিত ফল হল আপোফিসের ঘূর্ণন অবস্থার পরিবর্তন। যখন এটি পৃথিবীর নিকটবর্তী হবে, তখন গ্র্যাভিটেশনাল শক্তি এর স্পিন পরিবর্তন করতে পারে, যা সময়ের সাথে সাথে অ্যাস্টেরয়েডের পৃষ্ঠের আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে। পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে, ২৫১৪৩ ইটোকারও মতো কিছু অ্যাস্টেরয়েডের পরিস্থিতি পৃথিবীর কাছাকাছি উড়ানের কারণে কম স্পেস-ওয়েদারিং হতে পারে। এই বিশেষ ফ্লাইবাইয়ের ফলে বিজ্ঞানীরা এই পরিবর্তনগুলি সরাসরি অধ্যয়ন করার সুযোগ পাবেন।

পর্যবেক্ষণের একটি সুযোগ

আপোফিস যখন পৃথিবীর নিকটবর্তী হবে তখন এটি বিনা টেলিস্কোপেও দেখা যাবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকরা পরিবর্তনের বিস্তারিত চিত্র ধারণ করার প্রত্যাশা করছেন। এই গবেষণার ফলাফলগুলি কাছাকাছি আসার সময় কিভাবে প্রভাব ফেলে তা বোঝার ক্ষেত্রে গভীরতা আনবে, যা ভবিষ্যতের গবেষণা ও অ্যাস্টেরয়েড পর্যবেক্ষণ প্রচেষ্টায় প্রভাব ফেলতে পারে।

Apophis অ্যাস্টেরয়েড ফ্লাইবাই কি?

Apophis অ্যাস্টেরয়েড 2029 সালে পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে। এটি একটি বৃহৎ অ্যাস্টেরয়েড যা আমাদের গ্রহের কাছে দিয়ে যাবে।

এটি পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর হবে কি?

না, Apophis পৃথিবীর জন্য সরাসরি ক্ষতিকর হবে না। তবে এর গতি এবং পৃথিবীর গ্র্যাভিটেশনাল প্রভাব অ্যাস্টেরয়েডের পৃষ্ঠে কিছু পরিবর্তন আনতে পারে।

কীভাবে গতি পরিবর্তন হবে?

পৃথিবীর গ্র্যাভিটি Apophis এর পৃষ্ঠে কিছু প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলে এর অবস্থান এবং গতি কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।

এটি কি বারবার ঘটবে?

এটি 2029 সালে প্রথমবার পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে, কিন্তু ভবিষ্যতে আবারও আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই ঘটনার ফলে আমাদের কি করতে হবে?

বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। সাধারণ মানুষের জন্য চিন্তা করার কিছু নেই, কারণ এটি বিপজ্জনক নয়।

Leave a Comment