অদ্ভুত কোয়াসার: মহাবিশ্বের গভীরতার রহস্যে প্রযুক্তির অগ্রগতি কি শুধুই কল্পনা?

বিজ্ঞানীরা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে ১৩ বিলিয়ন বছর আগের মহাবিশ্বে কিছু অদ্ভুত কুয়াসার খুঁজে পেয়েছেন। এই সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল দ্বারা চালিত কুয়াসারগুলো অনেকটা একা অবস্থান করছে, যা অস্বাভাবিক। সাধারণভাবে, ব্ল্যাক হোলগুলোর দ্রুত বৃদ্ধি পেতে অনেক উপাদান প্রয়োজন, কিন্তু এই কুয়াসারগুলো প্রায় খালি পরিবেশে রয়েছে। এমআইটির ফিজিক্সের সহকারী অধ্যাপক আনা-ক্রিস্টিনা আইলার্সের নেতৃত্বে একটি দল পাঁচটি প্রাচীন কুয়াসার অধ্যয়ন করেছে। তারা বুঝতে পারছে না, এই ব্ল্যাক হোলগুলো এত দ্রুত কিভাবে বড় হয়েছে। এখন তারা নতুন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আরও তথ্য খুঁজতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই আবিষ্কার আমাদের ব্ল্যাক হোলের গঠন এবং বৃদ্ধি সম্পর্কিত বর্তমান ধারণাগুলোর চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।



জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের (JWST) মাধ্যমে ১৩ বিলিয়ন বছর আগে দেখা যায় এমন কিছু আশ্চর্যজনক বিষয় আবিষ্কার করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তারা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল দ্বারা চালিত কোয়াসারগুলি খুঁজে পেয়েছে, যা একেবারে একা অবস্থায় রয়েছে। এটি অদ্ভুত, কারণ বর্তমান তত্ত্ব মতে, ব্ল্যাক হোলগুলিকে দ্রুত বাড়ানোর জন্য প্রচুর উপাদানের প্রয়োজন। কিন্তু এই কোয়াসারগুলি এমন এলাকায় অবস্থান করছে যেখানে গ্যাস বা ধূলিকণা নেই, যা বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।

অস্বাভাবিক কোয়াসার ক্ষেত্র

এমআইটির সহকারী অধ্যাপক আন্না-ক্রিস্টিনা আইলারসের নেতৃত্বে একটি দল পাঁচটি প্রাচীন কোয়াসার অধ্যয়ন করেছে। কিছু কোয়াসার ঘন উপাদানে ছিল, কিন্তু অন্যগুলি প্রায় শূন্য ছিল, যা প্রত্যাশিত ছিল না। সাধারণত, কোয়াসারগুলির জন্য ঘন পরিবেশের প্রয়োজন, কিন্তু এই বিশেষ কোয়াসারগুলি যেন কোন গ্যাস বা ধূলি ছাড়াই বাড়ছে। আইলারস বলেছিলেন, “যদি আশেপাশে কিছু না থাকে তবে এগুলি এত বড় হল কীভাবে তা বোঝা কঠিন।”
ব্ল্যাক হোল বৃদ্ধির তত্ত্বগুলির চ্যালেঞ্জ

বর্তমান মহাবিশ্বে, সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলগুলি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকে এবং আশেপাশের উপাদান থেকে খাওয়া শুরু করে, যা কোয়াসার হিসেবে পরিচিত উজ্জ্বল ঘটনা তৈরি করে। তবে নতুন আবিষ্কৃত কোয়াসারগুলির প্রয়োজনীয় সম্পদ নেই। এটি একটি বড় প্রশ্ন উত্থাপন করে: কীভাবে এই ব্ল্যাক হোলগুলি এত দ্রুত এবং এমন অল্প সময়ে বড় হল? বর্তমানে, ব্ল্যাক হোল গঠনের বিদ্যমান তত্ত্বগুলি JWST যা দেখাচ্ছে তা ব্যাখ্যা করতে পারছে না।

পরবর্তী পদক্ষেপ

এই আবিষ্কারটি আরও প্রশ্ন তুলছে। গবেষকদের ধারণা, কিছু “শূন্য” কোয়াসার ক্ষেত্র হয়তো মহাকাশের ধূলির পিছনে উপাদান লুকিয়ে রেখেছে। তারা এখন তাদের পর্যবেক্ষণগুলি সামঞ্জস্য করার পরিকল্পনা করছে যাতে তারা যা মিস করেছে তা খুঁজে পেতে পারে। যা স্পষ্ট তা হল, আমরা এখনও বুঝতে পারিনি এই সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলগুলি মহাবিশ্বের ইতিহাসে এত দ্রুত কীভাবে গঠিত হয়েছে।

জেডব্লিউএসটি কি?

জেডব্লিউএসটি হলো একটি মহাকাশ টেলিস্কোপ, যা আমাদের মহাবিশ্বের গভীরতার দিকে নজর দিতে সাহায্য করে।

এই গবেষণায় কি পাওয়া গেছে?

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাচীন মহাবিশ্বে বিচ্ছিন্ন সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল দ্বারা চালিত কোয়াসারগুলি পাওয়া গেছে।

কোয়াসার কি?

কোয়াসার হলো একটি অত্যন্ত উজ্জ্বল বস্তু, যা ব্ল্যাক হোলের চারপাশে থাকা গ্যাসের কারণে সৃষ্টি হয় এবং এটি মহাবিশ্বের দূরবর্তী স্থানে পাওয়া যায়।

এই ব্ল্যাক হোলগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ?

এই ব্ল্যাক হোলগুলো আমাদের মহাবিশ্বের গঠন এবং বিবর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে।

এটি আমাদের কি উপকারে আসবে?

এটি মহাবিশ্বের জন্ম এবং বিকাশের ইতিহাস বুঝতে আমাদের সাহায্য করবে, যা বিজ্ঞানীদের জন্য নতুন জ্ঞান উন্মোচন করতে পারে।

Leave a Comment