সৌরভ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘কনভোকেশন। আরও অনেক দূর যেতে হবে।’ ডোনাও তুলে ধরলেন বিশেষ মুহূর্তের নানা ছবি। ছবি, ভিডিয়ো দেখে রীতিমতো মুগ্ধ ভক্তেরা। সকলেই শুভেচ্ছা জানালেন তাঁকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তো উদযাপন হল, কিন্তু বিদেশের বাড়িতে কী কী ছিল সানার জন্য আয়োজন? এই সময় ডিজিটালের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কেমন কাটল বিশেষ ওই দিনটা? ‘আসলে ওইদিন এত অনুষ্ঠান ছিল। ওর ওই সেরিমনিটা হল প্রথমে। কোর্ট পরিয়ে দিল। ওদের সম্বর্ধনা দিল। বিভিন্ন ফটো তোলা।’
তবে এখানেই শেষ নয় ডোনা বলেন, ‘এরপর বন্ধুদের সঙ্গে ইউনিভার্সিটি গেল। সেখানে গিয়ে আবার ফটোশ্যুট। ওদের ওখানে অনেক নিয়মকানুন। যেগুলো ওইদিনই করতে হয়। এই করতে করতেই গোটা দিন কেটে গেল। আর লন্ডনে এখন খুব গরম। আমরাও মোটামুটি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম।’
মেয়ের গ্র্যাজুয়েশন বলে কথা! তেমন কোনও স্পেশাল খাবার? ‘স্পেশ্যাল কিছুই নয় সেভাবে। আমরা বাড়িতে এসেই রান্না করে খাওয়াদাওয়া করলাম। আসলে এত অনুষ্ঠান ছিল একদিনে যে খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন এগুলো তো সবসময় মেনে চলতেই হয়। তাই ওটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবারের জন্য।’
গ্র্যাজুয়েশন তো শেষ হল, এরপর কী ওখানেই পড়াশোনা করবেন সানা? ডোনা বলেন, ‘হ্যাঁ, এখানে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাবে সেখানেই MSC করবে ইকোনমিক্স আর ফিন্যান্সে।’ মেয়ের এত ভালো রেজাল্ট। কী উপহার দিলেন বাবা-মা? ডোনা বলেন, সৌরভ বা ডোনা কেউই এখনও পর্যন্ত বিশেষ কোনও উপহার দেননি সানাকে। বরং, সানা যাতে আগামীতে আরও ভালো লেখাপড়া করতে পারে বা প্রতিষ্ঠিত হয় সেটাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের কাছে।
বাঙালি ঘরের মেয়ে সানা। কী কী খাবার পছন্দ করে সে। ডোনা বলেন, ‘সবরকম খাবার খায়। বাঙালি যেকোনও খাবারই ওর ভীষণই পছন্দের। এখানে যেহেতু প্রচুর অবাঙালি বন্ধুবান্ধব রয়েছে ওর, তাই সবাই একসঙ্গে ইউনিভার্টির পরে রান্না করে খায়। রাজমা, চাল এগুলোই এখানে বেশি খাওয়া হয় ওর। এখানে থেকে ও অনেক রান্নাও করতে শিখে গিয়েছে।’
একদিকে, পড়াশোনার জন্য বিদেশে সানা। অন্যদিকে, তাঁর দীক্ষামঞ্জরী। কীভাবে সামলান সবটা। কোভিডের পর থেকে সেভাবে দীক্ষামঞ্জরীর বার্ষিক অনুষ্ঠান শুরু হয়নি এখনও। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। যেমন কার্নিভাল, দোলের উৎসব। সেই অনুষ্ঠানেই সকলকে এক জায়গায় করা হয়। তবে ডোনা বলেন, ‘আগামী বছর থেকে ইচ্ছে আছে আবারও অনুষ্ঠান শুরু করার।’ তবে ইংল্যান্ডে থাকলেও অনলাইনে ক্লাস কিন্তু কখনও বন্ধ যায় না তাঁর।’