চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে এক রোগী আত্মহত্যা করেছেন, যা এলাকায় তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ৪৩ বছর বয়সী প্রকাশচন্দ্র বাইন, যিনি পেটে ব্যথা ও রক্তবমির কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন, আচমকা নার্সদের ওপর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তিনি কাঁচি নিয়ে নার্সদের ভয় দেখান এবং এরপর ছাদে গিয়ে ঝাঁপ দেন। চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও রাত ৩টায় তিনি মারা যান। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং মৃতের পরিবার এই ঘটনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষুব্ধ। ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ। প্রকাশচন্দ্র ক্রনিক অ্যালকোহলিক ছিলেন বলে জানা গেছে।
চন্দননগর হাসপাতালে আত্মহত্যার ঘটনা: রোগীর মৃত্যু ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এখানে এক রোগী ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত রোগীর নাম প্রকাশচন্দ্র বাইন (৪৩)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত শুক্রবার রাতে পেটে ব্যথা ও রক্তবমির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা প্রকাশ চন্দননগরের মহাডাঙা কলোনীতে বসবাস করতেন।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রকাশ আচমকাই নার্সদের দিকে কাঁচি নিয়ে তেড়ে যান এবং ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন। পরে তিনি সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠে যান এবং সেখান থেকে ঝাঁপ দেন। চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সফল হননি। এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
রাত দেড়টার সময় প্রকাশ আচমকা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং নার্সদের মারতে উদ্যত হন। ভয়ের কারণে কেউ তাঁকে আটকাতে সাহস করেনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু রাত ৩টায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের স্ত্রী মিঠু বাইনের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে ফোন করে তাঁদের দ্রুত আসতে বলা হয়েছিল।
এ ঘটনায় পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করেছে এবং হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলি কর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। হাসপাতালের সুপার সন্তু ঘোষ জানিয়েছেন, প্রকাশ ক্রনিক অ্যালকোহলিক ছিলেন এবং মদ না পেলে তিনি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতেন। তবে পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এমন আচরণ তারা আগে কখনও দেখেননি।
এই ঘটনার ফলে চন্দননগর হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং রোগীদের সুরক্ষার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
প্রশ্ন ১: চন্দননগরে কী ঘটেছে?
উত্তর: চন্দননগরে একটি হাসপাতালের ছাদ থেকে এক রোগী ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, যা এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
প্রশ্ন ২: রোগী কেন আত্মহত্যা করেছেন?
উত্তর: রোগীর আত্মহত্যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে মনে হচ্ছে তিনি মানসিক চাপ ও হতাশায় ভুগছিলেন।
প্রশ্ন ৩: হাসপাতাল কতটা নিরাপদ?
উত্তর: হাসপাতালগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এবং কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
প্রশ্ন ৪: এই ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?
উত্তর: কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার এবং মানসিক স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করার পরিকল্পনা করেছে।
প্রশ্ন ৫: স্থানীয় মানুষদের প্রতিক্রিয়া কী?
উত্তর: স্থানীয় মানুষরা এই ঘটনার জন্য উদ্বিগ্ন এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা ও রোগীদের দেখভালের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতার দাবি করছেন।