আজ শনিবার বীরভূমে কোর কমিটির বৈঠক হচ্ছে, যেখানে মুখোমুখি হচ্ছেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং সভাধিপতি কাজল শেখ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিজিৎ সিনহা, যিনি লাভপুরের বিধায়ক, তার নাম উল্লেখ করেছেন। অনুব্রত জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর এই প্রথম কোর কমিটির বৈঠক হচ্ছে, যা রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এতদিন ধরে অনুব্রত ও কাজলের মধ্যে বিরোধ ছিল, কিন্তু সিনহার নাম আসায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। বৈঠকে কাজল ও অনুব্রতর মধ্যে সমন্বয় সাধনের চ্যালেঞ্জ থাকবে। অভিজিৎ সিনহাকে গুরুত্ব দেওয়ার ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসতে পারে।
বীরভূমে কোর কমিটির বৈঠক: অনুব্রত ও কাজলের মুখোমুখি হওয়া
আজ, শনিবার বীরভূমে কোর কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই বৈঠকের মাধ্যমে মুখোমুখি হতে চলেছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং সভাধিপতি কাজল শেখ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকের প্রেক্ষাপটে অভিজিৎ সিনহা, যিনি রানার নামেও পরিচিত, তাঁর কথা উল্লেখ করেছেন। শুক্রবার এক সরকারি অনুষ্ঠানে দু’বার রানা সিনহার নাম নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিজিৎ সিনহা লাভপুরের বিধায়ক এবং ফুল্লরা মন্দির সংস্কারের সময় রানার ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করেছেন। অনুব্রত জামিনে মুক্তি পেয়ে তিহার জেল থেকে ফেরার পর এটি তার প্রথম অফিসিয়াল কোর কমিটির বৈঠক।
এদিকে, এতদিন জানা ছিল যে অনুব্রত এবং কাজল একে অপরের বিরোধী। কিন্তু বিধায়ক অভিজিৎ সিনহার নাম উল্লেখ করার ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। আজকের এই বৈঠক নিয়ে গোটা জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের নজর রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মিটিং করতে গিয়েছিলাম। তখন আমাদের বিধায়কের কথায় ফুল্লরা মন্দিরের সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা হয়।’ এই মন্তব্যগুলো কেষ্ট এবং কাজলকে ভাবিয়ে তুলেছে।
অনুব্রত মণ্ডল তিহাড় জেল থেকে ফিরে আসার পর কোর কমিটির কোনো বৈঠক হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী আগে বলেছিলেন, মাসে অন্তত তিনবার কোর কমিটির বৈঠক করতে হবে, কিন্তু তা হয়নি। জেলার বিভিন্ন ব্লকে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান হলেও কাজল এবং কেষ্টকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা কোর কমিটির বৈঠকের দাবি তুলেছেন এবং ১৬ নভেম্বর বৈঠক নির্ধারণ করা হয়েছে।
এখন কোর কমিটির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অনুব্রত এবং কাজলের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা। বৈঠকের শেষে বোঝা যাবে, তারা একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন কিনা। তবে, অভিজিৎ সিনহা যদি যার মধ্যে ঢুকে পড়েন, তাহলে বিরোধ দু’জনের মধ্যে থাকলেও দলের ক্ষতি হবে না। ইতিমধ্যেই দলের মধ্যে কিছু পরিবর্তন হচ্ছে, যেমন সিউড়ি ১ ব্লকের বুথ সভাপতিকে হঠাৎ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা বৈঠকে আলোচনার বিষয় হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে পা রাখতেই মুখোমুখি গজরাজের দল, জলপাইগুড়িতে আলোড়ন
প্রশ্ন ১: কোর কমিটির বৈঠকে কি হয়েছে?
উত্তর: কোর কমিটির বৈঠকে কেষ্ট ও কাজল মুখোমুখি হয়েছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী অভিজিৎ সিনহার নাম উল্লেখ করেছেন।
প্রশ্ন ২: কেষ্ট ও কাজলের মধ্যে কি আলোচনা হয়েছে?
উত্তর: বৈঠকে কেষ্ট ও কাজলের মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রশ্ন ৩: মুখ্যমন্ত্রী কেন অভিজিৎ সিনহার নাম উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন যে অভিজিৎ সিনহা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যক্তিত্ব।
প্রশ্ন ৪: কোর কমিটি কি ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে?
উত্তর: কোর কমিটি দলের নীতি, পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।
প্রশ্ন ৫: এই বৈঠকের পর দলের অবস্থান কি পরিবর্তিত হতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, বৈঠকের সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে দলের অবস্থান পরিবর্তিত হতে পারে।