আউশগ্রামে একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে যেখানে একটি বহুরূপী ব্যক্তি কিশোরী, যুবতী ও গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে। বোলপুরের বাসিন্দা লাল্টু মাল নামের এই ব্যক্তি আজ গ্রামে এসে সাহায্য চাইতে থাকে। ফাঁকা এলাকায় এক গৃহবধূকে জড়িয়ে ধরার পর কিশোরীর ওড়না টানার চেষ্টা করে। গ্রামবাসীরা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসছেন এবং ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছেন। শ্লীলতাহানির এই ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
আউশগ্রামে বহুরূপী সেজে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি বহুরূপী সেজে এসে একটি কিশোরী, একজন যুবতী এবং একটি গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি করে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে আটক করে মারধর করেন এবং পরে আউশগ্রাম থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়, যার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার তারকা রাক্ষসী সেজে ওই ব্যক্তি গ্রামে আসে এবং এলাকাবাসীদের সাহায্য চাইতে থাকে। কিন্তু এই সুযোগে সে বিভিন্ন বাড়িতে উঁকিঝুঁকি মারতে থাকে। একসময়, এক গৃহবধূকে জড়িয়ে ধরে এবং এক কিশোরীর ওড়না ধরে টানে। এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তের নাম লাল্টু মাল (৪৫), যিনি বীরভূম জেলার বোলপুরের বাসিন্দা। আউশগ্রামে এসে সে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। স্থানীয় কৃষকরা মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় নাবালিকা পুকুরে স্নান করছিলেন, তখন ওই ব্যক্তিটি তার নাম জিজ্ঞেস করে এবং বাড়িতে যেতে বলে। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে নাবালিকাকে জড়িয়ে ধরে, যা দেখে নাবালিকা চিৎকার করতে শুরু করেন।
এছাড়া, অভিযুক্ত এক গৃহবধূর গাল টিপে দেয় এবং হাত ধরে টানাটানি করে। গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আটক করে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এরপর পুলিশ এসে লাল্টুকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনার পর থেকে আউশগ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরও খবরের জন্য আমাদের সাথে থাকুন।
প্রশ্ন ১: বহুরূপীর বেশে এলাকায় নাবালিকার শ্লীলতাহানি কী?
উত্তর: এটি এমন একটি ঘটনা যেখানে একজন ব্যক্তি অন্যের শ্লীলতা লঙ্ঘন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বেশ ধারণ করে এবং নাবালিকার প্রতি অনৈতিক আচরণ করে।
প্রশ্ন ২: আউশগ্রামে এই ঘটনার জন্য অভিযুক্ত কারা?
উত্তর: পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে একজন পুরুষকে গ্রেফতার করেছে, যিনি বহুরূপী বেশে ছিল।
প্রশ্ন ৩: এই ধরনের ঘটনায় পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয়?
উত্তর: পুলিশ সাধারণত ঘটনার তদন্ত করে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং শিকারীকে নিরাপত্তা দেয়।
প্রশ্ন ৪: নাবালিকার শ্লীলতাহানি প্রতিরোধে কি করতে হবে?
উত্তর: অভিভাবকদের উচিত সন্তানের ওপর নজর রাখা, সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং যেকোনো সন্দেহজনক আচরণ দেখলে পুলিশকে জানানো।
প্রশ্ন ৫: এ ধরনের ঘটনার শিকার হলে কাকে জানানোর উচিত?
উত্তর: শিকারীকে পরিবারের সদস্য, শিক্ষক বা পুলিশকে জানানো উচিত যাতে তারা সাহায্য করতে পারে।