ভারত তার প্রথম মানবিক মহাকাশ অভিযানের সময়সীমা ২০২৬ সালে বাড়িয়েছে। এটি গ্যাগানযান প্রকল্পের আওতায় আসছে এবং সম্প্রতি ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (আইএসআরও) চেয়ারম্যান এস. সোমনাথ এর ঘোষণা করেছেন। নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে চারটি অমানবিক পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে, যার মধ্যে প্রথমটি ডিসেম্বর ২০২৩ এ অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষাগুলি মহাকাশে মানব মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি নিশ্চিত করবে। এছাড়াও, সরকার গ্যাগানযান প্রকল্পের জন্য ১১১ বিলিয়ন রুপি বরাদ্দ বাড়িয়েছে, যা মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে।
ভারত তার প্রথম মানবশূন্য মহাকাশ মিশন, গগণযান প্রোগ্রামের অধীনে, ২০২৬ সালে চালু করার জন্য সময়সীমা এক বছর পিছিয়ে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)-এর চেয়ারম্যান এস. সোমনাথ দ্বারা ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি aerospace শিল্পে ঘটিত কিছু বিপর্যয়ের পর নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শনের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সোমনাথ জানিয়েছেন, ভারতের প্রথম মানব মিশনটি একাধিক মানবহীন পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের পর অনুষ্ঠিত হবে, যার প্রথমটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে উৎক্ষেপণ করা হবে। এই পরীক্ষাগুলি সফল মানব মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমগুলির বৈধতা নিশ্চিত করবে, যাতে ভারত যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন সহ মহাকাশে স্বাধীনভাবে নভোচারী পাঠানোর কাতারে যুক্ত হতে পারে।
নিরাপত্তা প্রথম: ISRO-এর সাবধানী পন্থা
সোমনাথ সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে একটি আলোচনা সভায় ISRO-এর ব্যাপক পরীক্ষামূলক পদ্ধতি এবং চতুর্থ মানবহীন পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের সংযোজনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বোয়িং স্টারলাইনারের প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলিকে একটি সতর্কবার্তা হিসাবে উল্লেখ করেন, যা কঠোর নিরাপত্তা পরীক্ষার গুরুত্বকে তুলে ধরে। ISRO-এর গগণযান মিশন, যা H1 নামেও পরিচিত, পৃথিবীর ৪০০ কিলোমিটার উপরে এক বা দুই নভোচারী নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রাখে। সোমনাথ জানান, কোনো ধরনের বিপদের সম্মুখীন না হতে ISRO একটি পদ্ধতিগত পন্থা গ্রহণ করেছে এবং সম্পূর্ণভাবে নিজেদের তৈরি জটিল প্রযুক্তির পরীক্ষা করছে।
চূড়ান্ত মানব মিশনের জন্য প্রস্তুতি
মিশনকে সমর্থন করার জন্য, ISRO জরুরি পালানোর ব্যবস্থা এবং পুনরুদ্ধার সিস্টেমের মূল্যায়ন সহ বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। G1 ফ্লাইট, যা এই বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে, একটি মানবাকার রোবট ভ্যোমিত্রাকে নিয়ে যাবে, যা পুনঃপ্রবেশ, প্যারাশুটের মোতায়েন এবং বঙ্গোপসাগরে নিয়ন্ত্রিত জলস্লিপ পরীক্ষা করবে। G1-এর পরে, পরীক্ষামূলক পর্যায় সম্পূর্ণ করতে আরও তিনটি মানবহীন ফ্লাইট সম্পন্ন হবে।
নভোচারীদের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা
প্রোগ্রামের ক্রুরা ভারত এবং বিদেশে তীব্র প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর একজন পরীক্ষক পাইলট শোভাংশু শুক্লা, যিনি নভোচারী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি মিশনে যোগ দিতে যাচ্ছেন, যেখানে তিনি হিউস্টনে অ্যাক্সিয়াম স্পেসের সঙ্গে কাজ করবেন। সাবেক NASA নভোচারী পেগি হুইটসন মিশনের কমান্ডার হিসেবে থাকবেন, আর শুক্লার অভিজ্ঞতা নেভিগেশন এবং ডকিংয়ের মতো কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করবে – যা গগণযান মিশনের সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারের অর্থায়ন ISRO-এর গগণযান প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করছে
ভারত সরকার সম্প্রতি গগণযানের বাজেট বাড়িয়ে ১১১ বিলিয়ন রুপি প্রকল্পে যোগ করেছে, যা চূড়ান্ত পরীক্ষামূলক এবং ক্রু প্রশিক্ষণ পর্যায়ে সহায়তা করবে। সমস্ত মডিউল এখন ISRO-এর শ্রীহরিকোটা মহাকাশ কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হচ্ছে, যা ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ অভিযানের বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়ন সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে, যা ভারতের মহাকাশ সক্ষমতা উন্নত করার এবং মিশনটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা মানের সাথে পরিচালনা করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
Gaganyaan Mission কেন পিছিয়ে গেল?
Gaganyaan Mission এর সময়সীমা 2026 এ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে কারণ ISRO নিরাপত্তা, পরীক্ষণ এবং মহাকাশচারী প্রশিক্ষণের উপর বেশি মনোযোগ দিচ্ছে।
Gaganyaan Mission এর উদ্দেশ্য কি?
Mission এর উদ্দেশ্য হল ভারতীয় মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানো এবং তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা।
মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ কিভাবে হয়?
মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে হয়, যেমন: সিমুলেশন, শারীরিক প্রশিক্ষণ এবং মহাকাশে কাজ করার প্রশিক্ষণ।
Gaganyaan এর জন্য কি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে?
Gaganyaan Mission এর জন্য বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যেমন উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং রকেট প্রযুক্তি।
নতুন সময়সীমা কি নিশ্চিত?
নতুন সময়সীমা 2026 এর জন্য নির্ধারিত হলেও, প্রকল্পের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আরও সময় লাগতে পারে।