চীনা গাড়ি নির্মাতাদের অগ্রগতি: ইউরোপে বিনিয়োগ, তবে কি সত্যিই প্রযুক্তির সার্থকতা?

News Live

চীনা গাড়ি নির্মাতাদের অগ্রগতি: ইউরোপে বিনিয়োগ, তবে কি সত্যিই প্রযুক্তির সার্থকতা?

চীনের অটোমোবাইল খাতে প্রতিযোগিতা বাড়ছে, যার ফলে কোম্পানিগুলি ইউরোপীয় কারখানায় ব্যাপক বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। BYD সহ চীনা গাড়ি নির্মাতারা ২০২৬ সালের মধ্যে পূর্ণ-প্রক্রিয়া উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে। বিদেশী বাজারে প্রবেশের জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, কারণ দেশীয় বাজারে অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা এবং শুল্কের চাপ রয়েছে। চীনা নির্মাতারা বর্তমানে নয়টি দেশে পূর্ণ-প্রক্রিয়া উৎপাদন plants নির্মাণ করছে, যা ২০২৩ সালের মধ্যে ১.২ মিলিয়ন গাড়ি উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করবে। ২০২৬ সালের মধ্যে এটি ২.৭ মিলিয়ন ইউনিটে বৃদ্ধি পাবে। তাদের বিনিয়োগ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য এবং লাতিন আমেরিকাতেও প্রসারিত হচ্ছে।



চীনের গাড়ি শিল্পে নতুন প্রতিযোগিতা

চীনের গাড়ি শিল্পে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এই প্রতিযোগিতায় টিকতে চীনা কোম্পানি যেমন BYD ইউরোপের উৎপাদন প্ল্যান্টে বড় বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৬ সালের মধ্যে পূর্ণ-প্রক্রিয়ার উৎপাদন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। স্থানীয় বাজারে অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা এবং শুল্কের চাপ মোকাবেলায় নতুন বাজার খুঁজছে চীনা গাড়ি প্রস্তুতকারকরা। যদিও, বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে কিছু উদ্বেগ রয়েছে।

BloombergNEF-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা গাড়ি নির্মাতা বিদেশে তাদের পূর্ণ-প্রক্রিয়ার উৎপাদন দ্বিগুণ করতে সক্ষম হতে পারে, যা কঠোর আমদানি শুল্কের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের পাশাপাশি উদীয়মান বাজারে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে।

চীনা গাড়ি নির্মাতারা সাধারণত মূল অংশগুলি চীনে তৈরি করে এবং পরে সেগুলি বিদেশে পাঠিয়ে জোড়া দেয়। তবে, রিপোর্ট অনুসারে, পূর্ণ-প্রক্রিয়ার উৎপাদনে বিনিয়োগ দ্রুত বাড়ছে। এর কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং তুরস্কের মতো বড় বাজারে আরোপিত শুল্ক।

পূর্ণ-প্রক্রিয়ার উৎপাদনে চারটি প্রধান ধাপ রয়েছে: স্টাম্পিং, ওয়েল্ডিং, পেইন্টিং এবং ফাইনাল অ্যাসেম্বলি। এটি একটি উচ্চ মূলধন-নিবেশকারী প্রক্রিয়া হলেও, এটি জোড়া দেওয়ার তুলনায় উচ্চ উৎপাদন ক্ষমতা প্রদান করে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, চীনা গাড়ি নির্মাতারা নয়টি দেশে পূর্ণ-প্রক্রিয়ার উৎপাদন প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। ২০২৩ সালের হিসাবে বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১.২ মিলিয়ন গাড়ি হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে। BNEF-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে এই উৎপাদন ক্ষমতা ২.৭ মিলিয়ন ইউনিটে দ্বিগুণ হতে পারে, যদি চীনা নির্মাতাদের প্রতিশ্রুতি সময়মতো পালন করা হয়।

অনেক চীনা কোম্পানি নতুন প্রকল্প বা তাদের প্ল্যান্টের সম্প্রসারণ ঘোষণা করেছে যাতে বিদেশী বাজারে প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। তারা দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্য এশিয়া, লাতিন আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে স্থানীয় এবং উৎপাদন প্রকল্প প্রসারিত করছে।

BYD কেন বিদেশে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করতে চায়?

BYD বিদেশে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করতে চায় কারণ তারা আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে এবং বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা পূরণ করতে চাচ্ছে।

কী কারণে চীনা নির্মাতারা বিদেশে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে?

চীনা নির্মাতারা বিদেশে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে কারণ তারা নতুন বাজারে প্রবেশ করতে এবং স্থানীয় প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে চায়।

তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে কী সুবিধা হবে?

উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তারা দ্রুত এবং বেশি পরিমাণে গাড়ি উৎপাদন করতে পারবে, যা গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে।

এটি কি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে?

হ্যাঁ, এটি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে কারণ বেশি উৎপাদন এবং বিক্রি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে এবং বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়াতে পারে।

ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে কী পরিবর্তন আসতে পারে?

ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে, নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন হবে এবং গ্রাহকদের জন্য আরও ভালো বিকল্প আসতে পারে।

মন্তব্য করুন