সিঙুরের চাষিরা: শিল্পের দাবিতে সোচ্চার, সরকারের প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কল্পনা?

News Live

সিঙুরের চাষিরা: শিল্পের দাবিতে সোচ্চার, সরকারের প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কল্পনা?

হুগলির সিঙুরে শিল্পের দাবিতে আবারও সরব হয়েছেন চাষিরা, বিশেষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচির আগে। রতন টাটার মৃত্যুর পর সিঙুরে কারখানা হারানোর ক্ষত নতুন করে ভেসে উঠেছে। চাষিরা দাবি করছেন, সরকার যে বলছে সিঙুরের ৯১ শতাংশ জমি চাষযোগ্য, তা বাস্তবে ৭০ শতাংশেই চাষ করা যাচ্ছে না। অনিচ্ছুক চাষিরা সরকারকে চাষযোগ্য জমি ফেরত দিতে বা নতুন শিল্প গড়ে তোলার দাবি জানাচ্ছেন। তারা ‘সিঙুর বন্ধা জমি পুনর্ব্যবহার কমিটি’ গঠন করেছেন। চাষিরা বলছেন, শিল্পের জন্য সিঙুরই হোক পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্র।



সিঙ্গুরে শিল্পের দাবিতে চাষিদের নতুন সোচ্চারতা

হুগলির সিঙুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচির আগে আবারও শিল্পের দাবিতে সজাগ হয়ে উঠেছে এলাকার চাষিরা। রতন টাটার মৃত্যুর পর নতুন করে সিঙুরে কারখানা হারানোর টানাপোড়েন সামনে এসেছে। চাষিরা এবার একত্রিত হয়ে শিল্পের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। ইচ্ছুক চাষিদের পাশাপাশি অনিচ্ছুক চাষিরাও এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। তারা ন্যানো কারখানার পরিত্যক্ত জমি আবাদির দাবি তুলেছেন এবং একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন।

অনিচ্ছুক চাষিরা অভিযোগ করেছেন যে, সরকার দাবি করছে সিঙুরের ন্যানো কারখানা এলাকার ৯১ শতাংশ জমি চাষযোগ্য হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে এখনও ৭০ শতাংশ জমিতে চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। খাতায় জমি পেলেও চাষিরা সঠিক অধিকার পাননি, যার কারণে ইচ্ছুক চাষিরা তাদের দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তাদের দাবি, সরকার যদি জমি চাষযোগ্য করে ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে শিল্প প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

চাষিদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে দাবি করছে তা ভুয়ো। তারা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কিছু জমিতে ভুট্টা চাষ করে তা আবাদি বলে দাবি করেছিল, কিন্তু এখন সেই জমি আগাছায় ভরে গেছে।

সিঙুরের চাষিরা বলছেন, তারা চান সিঙুরে আবার শিল্প ফিরে আসুক। যেখানে পশ্চিমবঙ্গে শিল্প নিধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, সেই সিঙুরই হোক শিল্পের নতুন কেন্দ্র।

প্রশ্ন ১: সিঙুরে জমির অবস্থা কী?

উত্তর: সিঙুরে এখনও ৭০ শতাংশ জমি অনাবাদি রয়েছে, যা ব্যবহার করা হচ্ছে না।

প্রশ্ন ২: কেন চাষিরা সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন?

উত্তর: চাষিরা সরকারের ভূমি নীতির বিরুদ্ধে অসন্তুষ্ট এবং তাদের সমস্যা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলছেন।

প্রশ্ন ৩: এই পরিস্থিতির কারণে চাষিদের কী সমস্যা হচ্ছে?

উত্তর: জমি অনাবাদি থাকার কারণে চাষিদের আয় কমছে এবং তারা উন্নতির সুযোগ পাচ্ছেন না।

প্রশ্ন ৪: সরকার কি চাষিদের সমস্যার সমাধান করছে?

উত্তর: সরকার এখনও সঠিকভাবে চাষিদের সমস্যার সমাধান করেনি, যার কারণে তারা অসন্তুষ্ট।

প্রশ্ন ৫: চাষিরা কি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

উত্তর: হ্যাঁ, চাষিরা তাদের অধিকার ও দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে এবং সরকারকে জবাবদিহি করতে বলছেন।

মন্তব্য করুন