পাকিস্থানে জয়শংকরের সফর: শান্তির আহ্বান না কি রাজনৈতিক নাটক?

News Live

পাকিস্থানে জয়শংকরের সফর: শান্তির আহ্বান না কি রাজনৈতিক নাটক?

সাংহাই কোঅপারেশন অর্গনাইজেশন বা এসসিও-র বৈঠকে অংশ নিতে পাকিস্তানে গিয়েছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সংবর্ধনায় নৈশভোজে যোগ দেন এবং সেখানে ২০ সেকেন্ড ধরে করমর্দন করেন। যদিও দুই দেশের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়নি, জয়শংকর সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। এছাড়া, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাঠামো পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। জয়শংকরের এই সফর ৯ বছর পর পাকিস্তানে কোনও ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর পদার্পণ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি ভারতে ফিরে আসবেন।



পাকিস্তানে এস জয়শংকরের সফর: এসসিও বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ ও শান্তির কথা

সাংহাই কোঅপারেশন অর্গনাইজেশন বা এসসিও-এর বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তানে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি গতকাল ইসলামাবাদে পৌঁছান এবং পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের আয়োজিত এক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে শেহবাজের সঙ্গে ২০ সেকেন্ডের জন্য করমর্দন করেন জয়শংকর, তবে কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি।

আজ এসসিও সম্মেলনে জয়শংকর সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা ছাড়া উন্নয়ন ও বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। সীমান্তের অপর দিকে যদি সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিনতাবাদ জারি থাকে, তাহলে বাণিজ্য ও যোগাযোগের প্রসার ঘটতে পারে না।” তিনি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাঠামোর পরিবর্তনের বিষয়টিও উত্থাপন করেন।

এদিকে, জয়শংকরের পাকিস্তান সফরের সময় ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনো বৈঠক হবে কি না, এ নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত ছিলেন। তবে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক আগেই জানিয়েছিল যে, সেই ধরনের কোনো বৈঠক হবে না। জয়শংকরের এই সফরটি দীর্ঘ ন’বছর পরে পাকিস্তানের মাটিতে কোনো ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর পদার্পণ। তিনি মাত্র ২৪ ঘণ্টার জন্য পাকিস্তানে থাকবেন।

এই সফরের ফলে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে। তবে জয়শংকরের সফরের উদ্দেশ্য ছিল মূলত এসসিও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা।

১. এস সি ও মিটিংয়ে স জয়শঙ্করের উপস্থিতির উদ্দেশ্য কি?

এস সি ও মিটিংয়ে স জয়শঙ্করের উপস্থিতি ভারতের স্বার্থ রক্ষা করা এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা করা।

২. করমর্দনে শেহবাজের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছিল?

করমর্দনের সময় শেহবাজের সঙ্গে সাধারণ কুশল বিনিময় হয়েছিল, কিন্তু মূল আলোচনা ছিল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে।

৩. সন্ত্রাসবাদ নিয়ে জয়শঙ্কর কী বলেছেন?

জয়শঙ্কর সন্ত্রাসবাদকে একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং এর বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

৪. এই মিটিংয়ে ভারতের রণনীতি কী ছিল?

ভারতের রণনীতি ছিল সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা করা।

৫. এস সি ও মিটিংয়ের ফলাফল কী হতে পারে?

এস সি ও মিটিংয়ের ফলাফল হিসেবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সহযোগিতা এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে।

মন্তব্য করুন