ভারতের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বীমা কোম্পানি স্টার হেলথ সম্প্রতি একটি সাইবার হামলার শিকার হয়েছে, যেখানে তাদের গ্রাহকদের তথ্য এবং চিকিৎসা রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। হ্যাকাররা কোম্পানির কাছে 68,000 ডলার মুক্তিপণ দাবি করেছে। এই ঘটনার পর স্টার হেলথের শেয়ার দাম 11% কমেছে এবং তারা অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে। কোম্পানিটি টেলিগ্রাম এবং হ্যাকার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে, কারণ টেলিগ্রাম এখনও হ্যাকারকে নিষিদ্ধ করতে রাজি হয়নি। স্টার হেলথের সুরক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও তারা জানিয়েছে যে তদন্ত চলমান এবং এখনো কোনো ভুলের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভারতীয় সাইবার সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
স্টার হেলথের ওপর সাইবার হামলা: ৬৮,০০০ ডলারের র্যানসম দাবি
ভারতের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য বীমা কোম্পানি স্টার হেলথ শনিবার জানিয়েছে যে, তাদের গ্রাহকদের ডাটা এবং মেডিকেল রেকর্ডের লিকের সাথে জড়িত একটি সাইবার হ্যাকার থেকে ৬৮,০০০ ডলারের র্যানসম দাবি করা হয়েছে।
প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের বাজার মূল্যের কোম্পানিটি সম্প্রতি একটি খ্যাতি এবং ব্যবসায়িক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। রায়টারের প্রতিবেদনের পর ২০ সেপ্টেম্বর জানা যায় যে, একটি হ্যাকার টেলিগ্রাম চ্যাটবট এবং একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করে গ্রাহকদের সংবেদনশীল তথ্য, যেমন ট্যাক্স বিবরণ এবং মেডিকেল ক্লেইম নথি, লিক করেছে।
স্টারের শেয়ার ১১% কমেছে এবং কোম্পানিটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে। তারা টেলিগ্রাম এবং হ্যাকার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপও নিয়েছে, যিনি এখনও গ্রাহকদের তথ্যের নমুনা শেয়ার করছে।
স্টার হেলথ জানিয়েছে যে আগস্টে “হুমকি দেওয়া ব্যক্তি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহীর কাছে একটি ইমেইলে ৬৮,০০০ ডলারের র্যানসম দাবি করেছে।” কোম্পানিটি নিশ্চিত করেছে যে তারা তাদের প্রধান সিকিউরিটি অফিসার অমরজিত খানুজার বিরুদ্ধে কোনো ভুল পাওয়া যায়নি, তবে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলমান রয়েছে।
টেলিগ্রাম হ্যাকার সংক্রান্ত অ্যাকাউন্টের বিবরণ শেয়ার করতে বা তাদের স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, যদিও স্টার বারবার তাদেরকে নোটিশ পাঠিয়েছে। কোম্পানিটি ভারতীয় সাইবার নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের সাহায্য চেয়েছে হ্যাকারকে চিহ্নিত করার জন্য।
এদিকে, টেলিগ্রাম এই ঘটনায় মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
সার্বক্ষণিক তথ্য ফাঁস হওয়ার পর স্টার হেলথ কি করেছে?
স্টার হেলথ বলেছে যে, তাদের তথ্য ফাঁস হওয়ার পর তারা 68,000 ডলারের মুক্তিপণ দাবি পেয়েছে।
এই মুক্তিপণ দাবি কি সত্যি?
হ্যাঁ, স্টার হেলথ জানিয়েছে যে, তাদের কাছে একটি মুক্তিপণ দাবি এসেছে।
তথ্য ফাঁসের কারণে কি সমস্যা হয়েছে?
তথ্য ফাঁসের কারণে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে এবং কোম্পানির বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
স্টার হেলথ এই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসবে?
স্টার হেলথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার এবং বিষয়টি তদন্ত করার পরিকল্পনা করছে।
গ্রাহকরা কি নিরাপদ আছেন?
স্টার হেলথ গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষার জন্য কাজ করছে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে।