নতুন প্রযুক্তির উড়ানে মহাকাশের আবর্জনা কমানোর উপায় খোঁজার অভিযান: ড্রাকো মিশনের অভিনবতা

News Live

নতুন প্রযুক্তির উড়ানে মহাকাশের আবর্জনা কমানোর উপায় খোঁজার অভিযান: ড্রাকো মিশনের অভিনবতা

ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ESA) ২০২৭ সালে একটি অভিনব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা বিশেষভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের সময় স্যাটেলাইটগুলোর ভাঙনের প্রক্রিয়া অধ্যয়ন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। DRACO (ডেস্ট্রাকটিভ রিএন্ট্রি অ্যাসেসমেন্ট কনটেইনার অবজেক্ট) নামক এই মিশনটি মহাকাশের বর্জ্য কমানোর প্রযুক্তি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই স্যাটেলাইটটি ২০০ কেজি ওজনের এবং এর বিশেষভাবে তৈরি ক্যাপসুলটি ৪০ সেন্টিমিটার আকারের, যা চারটি ক্যামেরা ও ২০০ সেন্সর নিয়ে সজ্জিত থাকবে। DRACO মিশনের তথ্য ভবিষ্যতের স্যাটেলাইটগুলোর ডিজাইন উন্নত করতে সাহায্য করবে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে পুড়ে যাবে।



ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA) 2027 সালে একটি বিশেষ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় স্যাটেলাইটগুলি কীভাবে ভেঙে পড়ে তা অধ্যয়ন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই মিশনের নাম DRACO (Destructive Reentry Assessment Container Object), যা ESA-র মহাকাশ আবর্জনা নির্মূলের প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। ESA এই মহাকাশযানটি তৈরির জন্য চুক্তি দিয়েছে ইউরোপীয় প্রযুক্তি কোম্পানি Deimos-কে, যা এর ভেঙে পড়ার সময় অমূল্য তথ্য প্রদান করবে। এই তথ্যগুলি বিজ্ঞানীদের স্যাটেলাইট ভেঙে পড়া এবং এর পরিবেশগত প্রভাব বোঝার জন্য সহায়তা করবে।

স্যাটেলাইট ভেঙে পড়ার বোঝাপড়া

DRACO মিশনের লক্ষ্য হচ্ছে স্যাটেলাইটগুলি প্রবেশের সময় কীভাবে ভেঙে পড়ে তা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা। এই তথ্য বিশ্লেষণ করে, গবেষকরা ভবিষ্যতের স্যাটেলাইটগুলি ডিজাইন করতে চান যেগুলি প্রবেশের সময় সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যাবে, যা পৃথিবীর পৃষ্ঠে আবর্জনার ঝুঁকি কমাবে। এই মিশনটি বায়ুমণ্ডলে মহাকাশযানের প্রবেশের প্রভাব নিয়েও পরীক্ষা করবে, যেমন বিভিন্ন উপকরণ কীভাবে এর সাথে যোগাযোগ করে এবং কী উপ-প্রকৃতি উৎপন্ন হয়।

উদ্ভাবনী DRACO ডিজাইন

DRACO-এর ওজন 200 কেজি, যা একটি ধোয়ার মেশিনের আকারের সমান। এর ডিজাইন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি সাধারণ স্যাটেলাইটের মতো ভেঙে পড়ে, কিন্তু একটি বিশেষভাবে প্রকৌশল করা ক্যাপসুল প্রবেশের সময় টিকে থাকবে। এই ক্যাপসুলটি 40 সেন্টিমিটার মাপের এবং এতে চারটি ক্যামেরা ও 200টি সেন্সর থাকবে যা ভেঙে পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ড করবে। প্রবেশের পর, এটি একটি প্যারাশুট খুলবে এবং সংগৃহীত তথ্য সাগরে হারানোর আগে পাঠাবে।

জিরো আবর্জনা প্রযুক্তির অগ্রগতি

হোলগার ক্রাগ, ESA-র মহাকাশ নিরাপত্তার প্রধান, বলেছেন যে DRACO মিশনটি ভবিষ্যতের স্যাটেলাইট প্রযুক্তির উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি যে তথ্য সংগ্রহ করবে তা 2030 সালের মধ্যে আরো ডেমাইজেবল স্যাটেলাইট তৈরির জন্য ব্যবহার করা হবে, যা ESA-র জিরো আবর্জনা চুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা এই দশকের মধ্যে মহাকাশ আবর্জনা সৃষ্টি বন্ধ করার লক্ষ্য রাখে।

টিম ফ্লোহার, ESA-র মহাকাশ আবর্জনা অফিসের প্রধান, মিশনের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন, বিশেষ করে যখন বিশ্বব্যাপী স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সংখ্যা বাড়ছে।

DRACO স্যাটেলাইট কি?

DRACO স্যাটেলাইট হল একটি নতুন প্রকল্প যা ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ESA) ২০২৭ সালে লঞ্চ করতে যাচ্ছে। এটি স্যাটেলাইট পুনঃপ্রবেশের সময় কীভাবে ভেঙে পড়ে তা অধ্যয়ন করবে।

DRACO কেন গুরুত্বপূর্ণ?

DRACO স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারব কিভাবে স্যাটেলাইটগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসার সময় ভেঙে পড়ে। এই তথ্যগুলি ভবিষ্যতে আরও উন্নত এবং নিরাপদ স্যাটেলাইট ডিজাইন করতে সাহায্য করবে।

কখন লঞ্চ হবে DRACO?

DRACO স্যাটেলাইটটি ২০২৭ সালে লঞ্চ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সঠিক তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।

DRACO কিভাবে কাজ করবে?

DRACO স্যাটেলাইট পুনঃপ্রবেশের সময় বিভিন্ন সেন্সর এবং ক্যামেরার সাহায্যে তথ্য সংগ্রহ করবে। এটি স্যাটেলাইটের অবস্থা এবং ভেঙে পড়ার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবে।

DRACO প্রকল্পে কে কাজ করছে?

DRACO প্রকল্পে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ESA) এবং বেশ কয়েকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা ও প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। তারা এই প্রকল্পটির সফলতা নিশ্চিত করার জন্য একসাথে কাজ করছেন।

মন্তব্য করুন