চীনা বিজ্ঞানীরা চাঁদের পর্দার পেছনের অংশে চাঁদের নমুনা বিশ্লেষণ করে একটি গুরুত্বপূর্ণ সফলতা অর্জন করেছেন। চাং’এ-৬ মিশনের মাধ্যমে সংগৃহীত নমুনাগুলোতে পূর্বে সংগৃহীত নমুনাগুলির তুলনায় উল্লেখযোগ্য পার্থক্য পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদের এই অংশের মাটি বেসাল্ট এবং বিদেশী ইজেক্টার মিশ্রণে গঠিত, যা আগের নমুনাগুলির থেকে ভিন্ন। নতুন নমুনাগুলোতে হালকা কণাও পাওয়া গেছে, যা পূর্ববর্তী মিশনের সময় পাওয়া যায়নি। এছাড়া, এই নমুনাগুলোর গঠন চাঁদের আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ এবং ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। চাং’এ-৬ মিশন চাঁদের দক্ষিণ মেরু-এআইটকিন বেসিন থেকে ১.৯ কেজির বেশি উপাদান সংগ্রহ করেছে, যা চাঁদের অজানা অঞ্চলের নতুন গবেষণার পথ প্রশস্ত করেছে।
Chinese scientists have achieved a significant milestone in lunar exploration by studying samples from the far side of the Moon, gathered during the Chang’e-6 mission. This research, conducted by the National Astronomical Observatories of the Chinese Academy of Sciences along with other prominent institutions, has unveiled important differences in the composition of this unexplored region, enhancing our understanding of the Moon’s evolution.
Far Side-এর অনন্য রচনা
Chang’e-6 মিশন দ্বারা ফিরিয়ে আনা চাঁদের নমুনাগুলি আগের সংগ্রহের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন যে, far side-এর চাঁদ একটি মিশ্রণ তৈরি করেছে basalt এবং বিদেশী ejecta-এর, যা near-side-এর নমুনাগুলির থেকে আলাদা। জাতীয় বিজ্ঞান পর্যালোচনা পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, এই নতুন নমুনাগুলির মধ্যে হালকা কণাগুলি যেমন কাচ এবং feldspar রয়েছে, যা পূর্ববর্তী মিশনগুলির নমুনায় ছিল না। সাম্প্রতিক প্রভাবের ফলে এই উপাদানগুলি তৈরি হয়েছে, যেমন Chang’e-6 এর অবতরণ স্থলের কাছে নতুন গর্তগুলি নির্দেশ করছে।
চাঁদের আগ্নেয়গিরি এবং ভূতাত্ত্বিক তথ্য
এই আবিষ্কারগুলি চাঁদের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। Far-side-এর নমুনাগুলির ঘনত্ব কম এবং এগুলি পূর্বে অধ্যয়ন করা চাঁদের মাটির চেয়ে বেশি ছিদ্রযুক্ত। একটি চীনা একাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নমুনাগুলির আলগা এবং ফাঁপা প্রকৃতি চাঁদের আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ এবং এর স্তরের গভীর অংশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দেয়।
চাঁদের অনুসন্ধানে একটি মানচিত্রিক মিশন
Chang’e-6 মিশন দক্ষিণ মেরু-এাইটকেন বেসিন থেকে 1.9 কেজি এর বেশি উপাদান সংগ্রহ করেছে, যা চাঁদের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম প্রভাব গর্ত। এটি প্রথমবারের মতো যে কোনো দেশ far side থেকে নমুনা উদ্ধার করেছে, একটি অঞ্চল যা আগে পৌঁছানো সম্ভব ছিল না। এই নতুন আবিষ্কারগুলি চাঁদের উত্স এবং বিবর্তন বোঝার জন্য উভয় দিকের অধ্যয়নের গুরুত্বকে তুলে ধরে, পূর্ববর্তী মিশনগুলির দ্বারা ফেলে দেওয়া ফাঁকগুলো পূরণ করে।
চীনের চেং’ই-৬ মিশন কী?
চেং’ই-৬ মিশন হলো চীনের একটি মহাকাশ প্রকল্প, যা চাঁদের পিছনের দিক থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে।
চাঁদের পিছনের দিক থেকে নমুনা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এই নমুনাগুলি চাঁদের গঠন ও ইতিহাস সম্পর্কে নতুন তথ্য দেয়, যা আমাদের মহাকাশের সম্পর্কে আরো ভালো বোঝার সাহায্য করে।
নমুনাগুলি কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে?
নমুনাগুলি চাঁদের পিছনের দিকের একটি অঞ্চলে, যা আগে কখনো মানুষের দ্বারা দেখা হয়নি, সেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
এই মিশনের ফলাফল কীভাবে আমাদের উপকারে আসবে?
এই ফলাফলগুলি চাঁদের ভূতাত্ত্বিক গঠন এবং সম্ভাব্য খনিজ সম্পদ নিয়ে গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
চেং’ই-৬ মিশন কবে সফল হয়েছে?
এই মিশন ২০২৩ সালে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং এর নমুনাগুলি পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।