মেরিন জীবনে প্রযুক্তির নতুন উৎকর্ষ: তলদেশের অদ্ভুত শব্দের রহস্য উন্মোচনে AI-র অবদান

News Live

মেরিন জীবনে প্রযুক্তির নতুন উৎকর্ষ: তলদেশের অদ্ভুত শব্দের রহস্য উন্মোচনে AI-র অবদান

অদ্ভুত জলঢাকা শব্দ, যেগুলোকে “বায়োটওয়াং” বলা হয়, ২০১৪ সালে মারিয়ানা ট্রেঞ্চের কাছে প্রথম শোনা যায় এবং বৈজ্ঞানিকদের কাছে এটি একটি রহস্য হয়ে দাঁড়ায়। এই শব্দগুলো নিচু গর্জন এবং উচ্চ পিচের ধাতব সুরের মিশ্রণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। বছরগুলো ধরে, এর উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে সামুদ্রিক জীবনের সাথে এটি সম্পর্কিত হতে পারে বলে ধারণা ছিল। সম্প্রতি একটি গবেষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে যে, ব্রাইডস তিমি (Balaenoptera edeni) এই বিশেষ শব্দগুলো তৈরি করে। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে, এই তিমিগুলো এই শব্দগুলো ব্যবহার করে মহাসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যোগাযোগ করতে পারে।



বায়োটোয়াং শব্দের রহস্য উন্মোচন

মারিয়ানা ট্রেঞ্চের কাছে 2014 সালে প্রথম শোনা যাওয়া অদ্ভুত তলদেশীয় শব্দগুলি, যেগুলি “বায়োটোয়াং” নামে পরিচিত, বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিন ধরে বিভ্রান্ত করে আসছে। এই অদ্ভুত শব্দগুলি, যা নিম্ন গম্ভীর আওয়াজ এবং উচ্চ-পিচ ধাতব জিঞ্জির মতো শোনায়, সায়েন্স ফিকশনের সিনেমাগুলির ভুতুড়ে আওয়াজের মতো মনে হয়। অনেক বছর ধরে, এই শব্দগুলির উৎস অজানা ছিল, তবে ধারণা করা হচ্ছিল যে এগুলি সামুদ্রিক জীবনের সাথে যুক্ত। हाल में একটি গবেষণা নিশ্চিত করেছে যে ব্রাইডের তিমি (Balaenoptera edeni) এই বিশেষ শব্দগুলি তৈরি করছে। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে এই তিমিগুলি সম্ভবত বিশাল মহাসাগর জুড়ে যোগাযোগের জন্য এই শব্দগুলি ব্যবহার করে।

বায়োটোয়াং আবিষ্কার এবং বিশ্লেষণ

বায়োটোয়াং শব্দগুলি প্রথমবারের মতো মারিয়ানা ট্রেঞ্চের একটি অ্যাকুস্টিক সার্ভে চলাকালীন জলবাহী গ্লাইডার দ্বারা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা Frontiers in Marine Science জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্য। বিজ্ঞানীরা এই অদ্ভুত শব্দগুলির উৎস চিহ্নিত করতে সংগ্রাম করছিলেন। 2016 সালে, গবেষকরা প্রস্তাব করেছিলেন যে শব্দগুলি সম্ভবত বড় বেলিন তিমির মতো ব্লু তিমি বা হামপ্যাক তিমির থেকে আসছে, যদিও তখন তারা নিশ্চিত ছিলেন না।

২০২৩ সালে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) নতুন উন্নতির মাধ্যমে এই শব্দগুলির উৎস স্পষ্টভাবে ব্রাইডের তিমির দিকে নির্দেশিত হয়। AI সরঞ্জামগুলি 200,000 ঘণ্টারও বেশি রেকর্ডিং পর্যালোচনা করে গবেষকদের বায়োটোয়াং কলগুলি চিহ্নিত করতে সহায়তা করেছে।

ব্রাইডের তিমির পর্যবেক্ষণ

জাতীয় মহাসাগরীয় এবং বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসনের (NOAA) প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জ মৎস্য বিজ্ঞান কেন্দ্রে মহাসাগরবিদ্যা বিশেষজ্ঞ অ্যান অ্যালেন এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন। তার দল আবিষ্কার করেছে যে বায়োটোয়াং শব্দগুলি ব্রাইডের তিমির অভিবাসন প্যাটার্নের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যা তাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে।

গবেষকরা ব্রাইডের তিমিকে ওই অঞ্চলে পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং বেশ কয়েকটি তিমিকে এই শব্দগুলি তৈরি করতে রেকর্ড করেছেন, যা সংযোগকে আরও শক্তিশালী করে। Interestingly, বায়োটোয়াং শব্দগুলি কেবল উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে শনাক্ত হয়েছে, যা নির্দেশ করে যে এই কলগুলি একটি নির্দিষ্ট তিমির জনসংখ্যার জন্য বিশেষ হতে পারে।

যদিও বায়োটোয়াং কলগুলির সঠিক উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়, বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এগুলি একটি দীর্ঘ-দূরী যোগাযোগের একটি রূপ হতে পারে।

মারিয়ানা ট্রেঞ্চের শব্দগুলি কেন শোনা যাচ্ছে?

মারিয়ানা ট্রেঞ্চে অদ্ভুত শব্দগুলি মূলত গভীর সমুদ্রের জীবনের কারণে হয়, যেমন মাছ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী।

এই শব্দগুলি কি বিপজ্জনক?

না, এই শব্দগুলি মানুষের জন্য বিপজ্জনক নয়, এটা কেবল সমুদ্রের স্বাভাবিক পরিবেশের অংশ।

শব্দগুলি কোথা থেকে আসছে তা কিভাবে বোঝা গেল?

গবেষকরা অডিও ডেটা এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে শব্দের উৎস নির্ধারণ করেছেন এবং এর বিশ্লেষণ করেছেন।

এগুলোর অর্থ কি?

এই শব্দগুলি সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং জীববৈচিত্র্যের সংকেত দেয়, যা আমাদের পরিবেশের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।

ভবিষ্যতে কি আরও অদ্ভুত শব্দ শোনা যাবে?

হতে পারে, কারণ সমুদ্রের পরিবেশ সবসময় পরিবর্তিত হয় এবং নতুন নতুন প্রাণী এবং প্রক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

মন্তব্য করুন