বর্ষার ধস ও টয়ট্রেনের অবরোধ: পর্যটন ব্যবসার সংকট, সরকারের দায়িত্বহীনতা কি দার্জিলিংকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেবে?

News Live

বর্ষার ধস ও টয়ট্রেনের অবরোধ: পর্যটন ব্যবসার সংকট, সরকারের দায়িত্বহীনতা কি দার্জিলিংকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেবে?

বর্ষণের কারণে পাহাড়ে ধস নেমেছে এবং এর ফলে শিলিগুড়ি-সিকিমের ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন পরিষেবা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগে ২১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা পিছিয়ে গেছে। টয়ট্রেন সেবা দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে, যা পর্যটকদের জন্য একটি বড় আঘাত। এখন সিকিম ও কালিম্পংয়ের যাতায়াতও বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রাস্তা মেরামতের কাজ করছে, তবে দুর্গাপুজোর আগে পর্যটকদের হতাশা বাড়ছে। টয়ট্রেনের অভাব পর্যটন ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।



শিলিগুড়িতে টয়ট্রেন পরিষেবা আবারও বিলম্বিত

নাগাড়ে বর্ষণের কারণে পাহাড়ে ধস নামার ফলে শিলিগুড়ি–সিকিমের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর ফলে টয়ট্রেন পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা আবারও পিছিয়ে গেছে। ২১ সেপ্টেম্বর এনজেপি থেকে দার্জিলিং ট্র্যাকে টয়ট্রেন চালুর কথা ছিল, কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য তা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে, জানিয়েছেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ডিরেক্টর প্রিয়াংশু কুমার।

পাহাড়ের পর্যটন মানচিত্রে টয়ট্রেন অন্যতম আকর্ষণ। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টির ফলে দার্জিলিংয়ে রেল লাইনের ক্ষতি হয়েছে, ফলে দীর্ঘদিন ধরে এই পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। জুলাই মাসে মারাত্মক ক্ষতির পর থেকে টয়ট্রেন পরিষেবা বন্ধ ছিল। যদিও ২১ সেপ্টেম্বর চালুর ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু পরিস্থিতির কারণে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।

সিকিম এবং কালিম্পংয়ে যাতায়াতের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও বন্ধ রয়েছে। পূর্ত দফতর রাস্তা মেরামতের কাজ করছে, তবে কিছু এলাকায় পাথরের কারণে কাজ করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় পর্যটকরা হতাশ হয়ে পড়ছেন, কারণ দুর্গাপুজোর সময় অনেকেই পাহাড় সফরে আসেন। যদি টয়ট্রেন পরিষেবা আবার চালু না হয়, তাহলে পর্যটন ব্যবসায় বড় ধাক্কা লাগতে পারে।

এদিকে, টয়ট্রেনের জন্য পর্যটকেরা অপেক্ষা করছেন। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ট্র্যাকে মেরামতের কাজ চলছে এবং শীঘ্রই তা শেষ হবে। আশা করা হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিষেবা পুনরায় চালু হবে।

প্রশ্ন ১: সেপ্টেম্বর মাসে টয়ট্রেন কেন বন্ধ থাকবে?

উত্তর: সেপ্টেম্বর মাসের বাকি দশদিন টয়ট্রেন মেরামতের কাজ চলছে বলে বন্ধ থাকবে।

প্রশ্ন ২: টয়ট্রেন বন্ধ থাকলে কি টিকিটের টাকা ফেরত পাবো?

উত্তর: হ্যাঁ, টিকিটের টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

প্রশ্ন ৩: টয়ট্রেন কবে পুনরায় চালু হবে?

উত্তর: অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে টয়ট্রেন পুনরায় চালু হবে।

প্রশ্ন ৪: আমি কি অন্য কোনো পদ্ধতিতে দার্জিলিং যেতে পারি?

উত্তর: হ্যাঁ, আপনি বাস বা গাড়ি ভাড়া করে দার্জিলিং যেতে পারেন।

প্রশ্ন ৫: এই সময় টয়ট্রেনের তথ্য কোথায় পাবো?

উত্তর: টয়ট্রেনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা স্থানীয় স্টেশন থেকে তথ্য পাওয়া যাবে।

মন্তব্য করুন