জলছাড়ার রাজনীতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ক্ষোভ: ‘বাংলাকে বঞ্চনা, কেন এই পরিকল্পিত বন্যা?’

News Live

জলছাড়ার রাজনীতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ক্ষোভ: ‘বাংলাকে বঞ্চনা, কেন এই পরিকল্পিত বন্যা?’

আজ, বুধবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে নতুন করে ডিভিসি জল ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিনি জেলা সফরে বেরিয়ে বানভাসী মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঘাটালে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরে তিনি দ্রুত সেখানে পৌঁছান। সেখানে তিনি বলেন, ডিভিসির মাধ্যমে বাংলায় পরিকল্পিতভাবে জল ছাড়া হচ্ছে, যা ম্যান মেড বন্যা সৃষ্টি করছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙে এক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের কাছে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য আবেদন ২০ বছর ধরে ঝুলে আছে, যা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।



মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর: বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

আজ, বুধবার, নতুন করে ডিভিসি (ডামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন) জল ছাড়ায় পশ্চিমবঙ্গে বন্যার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গেছে। এই খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুরে জেলা সফরের জন্য রওনা হন। পথে তিনি বানভাসী মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সূচি অনুযায়ী, হাওড়া–হুগলি হয়ে আজ রাত কাটাবেন পশ্চিম মেদিনীপুরে, এবং আগামীকাল ঘাটালের বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছাবেন। কিন্তু তিনি ফোনে জেলার পরিস্থিতি নিয়ে খবর নিচ্ছিলেন, তখনই জানতে পারেন ঘাটালের অবস্থা ভয়াবহ। এই খবর পেয়ে সেখানেই ছুটে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, দাসপুরে একটি দোতলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং কেশপুরে জলের তোড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি দ্রুত ঘাটালে পৌঁছান এবং বলেন, ‘ফরাক্কায় ড্রেজিং হয় না এবং ডিভিসিতেও তা করা হয় না। ড্রেজিং হলে আরও ২ লক্ষ কিউসেক জল ডিভিসিতে রাখা যেত। আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তারা প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছেড়ে দিয়েছে। আমরা ডিভিসির ব্যবহারে স্তম্ভিত।’

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বন্যার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেন। তিনি জানতে চান কোথায় কত মানুষ জলবন্দি, কোন এলাকার বাঁধ ভেঙে পড়েছে এবং ত্রাণ শিবিরে খাবারের ব্যবস্থা আছে কিনা। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলাকে বঞ্চনা করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান ২০ বছর ধরে পড়ে আছে। আমরা এই কাজটা করে দেব। দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ হবে এবং আমাদের কাজটা করতে দু’‌বছর সময় লাগবে।’

পশ্চিম মেদিনীপুরের অবস্থা খারাপ। কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বুধবার সকালে কেশপুরের শেখ গিয়াসুদ্দিন নামে ১০ বছর বয়সী একটি শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে মঙ্গলবার ডিভিসির সঙ্গে কথা বলেছিলাম। পরিকল্পিতভাবে জল ছেড়ে বাংলাকে ডোবানো হচ্ছে। এটা ম্যান মেড বন্যা।’

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কী?

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান হলো একটি উন্নয়ন প্রকল্প, যা জলবন্দী এলাকার সমস্যা সমাধান করবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা কেন?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এই প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বললেন।

এ প্রকল্পের সুবিধা কী হবে?

এ প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলসংগ্রহ এবং কৃষির উন্নতি হবে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কত সময় লাগবে?

মমতা জানিয়েছেন যে, এই প্রকল্পটি দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

এই প্রকল্পে সরকার কীভাবে সহায়তা করবে?

সরকার অর্থ, প্রযুক্তি এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ প্রকল্পে সহায়তা করবে।

মন্তব্য করুন