রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংকট: ডাক্তারদের আন্দোলনে রাজনীতির খেলা, রোগীরা মৃত্যুর কোলে!

News Live

রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংকট: ডাক্তারদের আন্দোলনে রাজনীতির খেলা, রোগীরা মৃত্যুর কোলে!

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে এবং দুই প্রধান ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছে এবং তারা মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ডাক্তাররা তাদের জন্য আলাদা রেস্ট রুম, শৌচালয় এবং হাসপাতালের বেড সংখ্যা জানার দাবিতে উঠেছে। তারা স্থায়ী নিয়োগ এবং রেসিডেন্স ডাক্তারদের স্বীকৃতির দাবিও জানাচ্ছে। রাজ্য সরকার কিছু দাবি মেনে নিয়েছে, তবে কার্যকর করতে সময় চেয়েছে। রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছে, তাই সুপ্রিম কোর্ট বারবার ডাক্তারদের কাজে ফেরার কথা বলছে। বৈঠকের পর ডাক্তাররা লিখিত প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যেতে আগ্রহী।



আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড়

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করার ঘটনায় রাজ্যে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে চলছে এবং তদন্ত করছে সিবিআই। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করছেন। আজ নবান্নের সভাঘরে মুখ্যসচিবের সঙ্গে তাঁদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে জুনিয়র ডাক্তাররা কিছু দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, কর্মক্ষেত্রে আলাদা রেস্ট রুম ও শৌচালয় নিশ্চিত করতে হবে এবং হাসপাতালের বেড সংখ্যা ওয়েবসাইটে জানাতে হবে। এছাড়া, ডাক্তারদের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করার পাশাপাশি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ডাক্তাররা রেসিডেন্স ডাক্তারদের স্বীকৃতি ও থ্রেট কালচার বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন।

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশ কমিশনার ও স্বাস্থ্য অধিকর্তার পদে পরিবর্তন এনেছেন। তবে কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার জুনিয়র ডাক্তাররা নবান্নে স্টেনোগ্রাফার নিয়ে গিয়েছিলেন বৈঠকের কার্যবিবরণী লেখার জন্য। রাজ্য সরকারের সঙ্গে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং কিছু দাবির প্রতি রাজ্য সম্মতি জানিয়েছে। তবে কার্যকর করার জন্য কিছুটা সময় চাওয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে অনেক রোগী চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টও জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে আসছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ফের এই বিষয়ে শুনানি হবে। ফলে আজকের বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী ডাক্তাররা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট লিখিত প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি বা অবস্থান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

নবান্নের বৈঠক কেন হয়েছিল?

নবান্নের বৈঠক জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি এবং সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য হয়েছিল।

মুখ্যসচিবের সঙ্গে কি আলোচনা হয়েছে?

মুখ্যসচিবের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বিভিন্ন সমস্যা ও তাদের দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?

বৈঠকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি কি ছিল?

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ছিল কর্মস্থলে নিরাপত্তা, বেতন বৃদ্ধি এবং উন্নত চিকিৎসা পরিবেশ।

পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে?

জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করবেন এবং প্রয়োজন হলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

মন্তব্য করুন