জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন: তৃণমূলের দ্বিচারিতা, মানবতার ডাক কি শুনবে কেউ?

News Live

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন: তৃণমূলের দ্বিচারিতা, মানবতার ডাক কি শুনবে কেউ?

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই শুরু হয়েছে, যা তৃণমূল কংগ্রেসকে বারবার অস্বস্তিতে ফেলছে। আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানালেও তৃণমূল নেতারা মাঝে মাঝে তাঁদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করছেন। কুণাল ঘোষ, তৃণমূল নেতা, দাবি করেছেন যে ৫১ জন জুনিয়র ডাক্তারকে রাজনৈতিক কারণে বাধা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের দাবি, থ্রেট কালচার বন্ধ করতে হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কর্মস্থলে প্রবেশে বাধা দেওয়া উচিত নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরেও কার্যকর পদক্ষেপ হয়নি। আন্দোলনকারীদের সমস্যার সমাধান করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন কুণাল।



আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন অব্যাহত

আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের একটি বড় অংশ আন্দোলন শুরু করেছেন। এই আন্দোলন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শাসকদল অনেকবার অস্বস্তিতে পড়েছে। কখনও আন্দোলনকে ন্যায্য বলে সমর্থন করছে, আবার কখনও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। গত ৯ অগস্ট যে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তিনি থ্রেট কালচারের বলি হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত ৫১ জন জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে। কুণাল ঘোষ তাদের পক্ষে সওয়াল করে বলেছেন, “এই ছেলেমেয়েগুলি কোথায় যাবে? কীভাবে পড়বে? কীভাবে কাজ করবে? এরাও মেধাবী।” তিনি আরও বলেছেন, “ভিন্ন রাজনৈতিক মতের কারণে তাদের মেডিক্যাল কলেজে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।” এর ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

এদিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের কারণে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, ফলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার হয়নি। কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সরকার কোনও ব্যবস্থা নেবে না। কিন্তু এখনও অনেক চিকিৎসককে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।”

এই পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত অবিলম্বে জুনিয়র ডাক্তারদের সমস্যা সমাধান করা, কারণ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন।

১. কুণাল ঘোষ কে?

কুণাল ঘোষ একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা এবং পশ্চিমবঙ্গের বিধায়ক।

২. RG কার থ্রেট কালচারে কি সমস্যা আছে?

RG কার থ্রেট কালচার মানে হল সেখানে কিছু মানুষ অন্যদের হুমকি দিচ্ছে, যা খুবই মারাত্মক।

৩. কুণাল ঘোষ কি এই থ্রেট কালচার নিয়ে কথা বলেছেন?

হ্যাঁ, কুণাল ঘোষ এই থ্রেট কালচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং অভিযুক্তদের পক্ষে সওয়াল করেছেন।

৪. তার বক্তব্যের মূল বিষয় কি ছিল?

তিনি বলেছিলেন যে এই থ্রেট কালচার সমাজের জন্য বিপজ্জনক এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

৫. এই বিষয়টি নিয়ে সমাজের প্রতিক্রিয়া কেমন?

সমাজে এই বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে, এবং অনেকেই এই থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন।

মন্তব্য করুন