মৌন ভঙ্গিতে পুলিশি সুরক্ষার কাহিনী: আইনের খাঁচায় কি বন্দী সত্য?

News Live

মৌন ভঙ্গিতে পুলিশি সুরক্ষার কাহিনী: আইনের খাঁচায় কি বন্দী সত্য?

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বেঞ্চে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং ও কপিল সিব্বল মুখোমুখি হয়েছেন। টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারের বিষয়টি খুব বেশি আলোচিত হয়নি। কিছু পুলিশ আইন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, গ্রেফতারটি আইন মেনে হয়নি। সিবিআই জানিয়েছে, অভিজিৎ মণ্ডল তদন্তে কিছু তথ্য দিয়েছেন, কিন্তু গ্রেফতার হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি কাজে ত্রুটি হলে পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমতি লাগবে। এই ঘটনার নানা দিক নিয়ে আলোচনা চলছে এবং মামলা করার পরিকল্পনা রয়েছে।



সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক হত্যা মামলার শুনানি

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আজ, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এই শুনানি হয়। আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং ও কপিল সিব্বল মুখোমুখি হন। তবে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারের বিষয়টি এখানে খুব একটা আলোচনা হয়নি। এ নিয়ে কিছু কলকাতা পুলিশের আইন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, গ্রেফতারে আইন মেনে চলা হয়নি।

সিবিআই জানিয়েছে, টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে। তবে সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন তিনি তার কাজের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন এবং কোন তথ্য লোপাটের প্রমাণ মেলেনি। সিবিআই শিয়ালদা আদালতে গ্রেফতারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরলেও আদালত কোনো আপত্তি করেনি। কিন্তু লালবাজারের কিছু পুলিশ আইন বিশেষজ্ঞ এই গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং মামলা করার চিন্তা করছেন বলে জানা গেছে।

লালবাজারের সূত্র অনুযায়ী, পুলিশ অফিসারদের সরকারি কাজে ত্রুটি বিচ্যুতির জন্য গ্রেফতার করতে হলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন। যদি বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীর ক্ষেত্রে হয়, তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি লাগবে। টালা থানার ওসির গ্রেফতারে এসব নিয়ম অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা পুলিশের আইন বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে দুইটি আইন উদ্ধৃত করছেন এবং মামলার প্রেক্ষিতে তা সামনে আনছেন।

আরও বিস্তারিত জানুন: ‘জুনিয়র ডাক্তাররা বাচ্চা ছেলেমেয়ে’‌, কলকাতার মেয়র স্মরণ করালেন তাঁদের কর্তব্য

প্রশ্ন ১: টালা থানার ওসির গ্রেফতার কেন ত্রুটিপূর্ণ বলা হচ্ছে?

উত্তর: অনেকেই মনে করেন যে গ্রেফতারটি যথাযথ প্রমাণ বা কারণ ছাড়াই হয়েছে, তাই এটি ত্রুটিপূর্ণ মনে হচ্ছে।

প্রশ্ন ২: সিবিআইয়ের গ্রেফতার প্রক্রিয়া কেমন হয়?

উত্তর: সিবিআই আগে তদন্ত করে, প্রমাণ সংগ্রহ করে এবং তারপর গ্রেফতার করে। যদি প্রমাণ যথেষ্ট না হয়, তবে গ্রেফতারটি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।

প্রশ্ন ৩: কলকাতা পুলিশের মধ্যে এ নিয়ে কী আলোচনা চলছে?

উত্তর: কলকাতা পুলিশের মধ্যে এ বিষয়ে বিভিন্ন মতামত ও আলোচনা চলছে, বিশেষ করে আইনগত দিক ও প্রমাণের যথার্থতা নিয়ে।

প্রশ্ন ৪: যদি গ্রেফতার ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে?

উত্তর: যদি গ্রেফতার ত্রুটিপূর্ণ প্রমাণিত হয়, তবে ওসির বিরুদ্ধে মামলার সুযোগ থাকতে পারে এবং তাকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে।

প্রশ্ন ৫: সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন?

উত্তর: সাধারণ মানুষ অনেকেই উদ্বিগ্ন এবং কিছুটা বিভ্রান্ত; তারা দেখছে আইনশৃঙ্খলার ভঙ্গ এবং সঠিক বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন