শান্তিপুর ট্রেনে বিশ্বকর্মার পুজো: শিল্পের দেবতার আরাধনায় গণমানুষের আনন্দ, রাজনীতির হাওয়া কোথায়?[embed]https://www.youtube.com/watch?v=Dfpox7SULtU[/embed]

News Live

শান্তিপুর ট্রেনে বিশ্বকর্মার পুজো: শিল্পের দেবতার আরাধনায় গণমানুষের আনন্দ, রাজনীতির হাওয়া কোথায়?

আজ, ১৭ সেপ্টেম্বর, বিশ্বকর্মা পুজো। এই বিশেষ দিনটি শহর থেকে গ্রামের লোকজন শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মাকে পুজো করছেন। তবে শান্তিপুর লোকালের একটি অভিনব পুজো সবার নজর কাড়ছে। ১৮ বছর ধরে চলন্ত ট্রেনে এই পুজো হয়ে আসছে। ট্রেনের কামরায় ফুল ও কলাগাছ দিয়ে সাজানো হয়, আর মন্ত্র পাঠ ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়। নিত্যযাত্রীরা ও প্ল্যাটফর্মের সাধারণ মানুষরা সবাই এতে অংশ নেয়। পুজোর পর আনন্দ আড্ডা ও ছুটির দিনটি উপভোগ করা হয়। শিয়ালদা পৌঁছানোর আগে দেবতার মূর্তি নিরাপদ স্থানে রাখা হবে। রাজ্যের মধ্যে শান্তিপুর লোকাল ট্রেনের এই পুজো সত্যিই বিশেষ।



বিশ্বকর্মা পুজো: চলন্ত ট্রেনে অভিনব উৎসব

আজ, ১৭ সেপ্টেম্বর, বিশ্বকর্মা পুজো। শহর থেকে গ্রামবাংলা, সব জায়গায় শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মার আরাধনা চলছে। তবে, নদিয়ার শান্তিপুরে একটি বিশেষ ঘটনা ঘটছে। এখানে, ফুল এবং নানা রঙের জিনিস দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা ট্রেন। চলন্ত ট্রেনের কামরায় চলছে বিশ্বকর্মার পুজো, যা গত ১৮ বছর ধরে হয়ে আসছে। নিত্যযাত্রীরা এই পুজোয় অংশগ্রহণ করে, এবং এটি একটি অভিনব দৃষ্টান্ত।

শান্তিপুর লোকালে বছরের পর বছর ধরে বিশ্বকর্মা পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এর খবর তেমনভাবে আসেনি। এবার এই লোকাল ট্রেনের পুজো নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। যখন বিভিন্ন কলকারখানা এবং অন্যান্য জায়গায় দেব শিল্পীর আবাহন চলছে, তখন লোকাল ট্রেনে চলছে এই বিশেষ পুজো। ট্রেন ঢোকার পর যাত্রীরা কলাগাছ, ফুল দিয়ে ট্রেনটিকে সুসজ্জিত করেন।

এখানে শুধু নিত্যযাত্রীরা নয়, সাধারণ মানুষও যুক্ত হন, যারা প্ল্যাটফর্মের কাছে বসবাস করেন। এই সকলেই পুজোর কাজে হাত লাগান। আজ, ট্রেন সাজানোর পর তারা ঢাক বাজিয়ে পুরোহিত সহকারে প্রথমে রেলের ট্র্যাক, তারপর ট্রেন এবং শেষে দেবশিল্পীর পুজোয় অংশ নেন। চলন্ত ট্রেনেই চলে পুজোপাঠ, এবং যাত্রীদের দেওয়া হয় পুজোর প্রসাদও।

বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে চলতে থাকে দেদার আড্ডা। অনেকেরই অফিস নেই, আর এই ছুটির দিনটিকে তারা আনন্দের সাথে উপভোগ করেন। শিয়ালদা পৌঁছানোর আগে, ট্রেন থেকে বিশ্বকর্মাকে নামিয়ে একটি সুরক্ষিত জায়গায় রাখা হবে, যেখানে পরবর্তীতে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হবে। গোটা রাজ্যের মধ্যে শান্তিপুর লোকাল ট্রেনেই এই পুজো সবচেয়ে বেশি ঘটা করে হয়।


চলন্ত ট্রেনে বিশ্বকর্মা পুজো: ১৮ বছর ধরে একই আবেগ

ভারতের রেলপথে চলন্ত ট্রেনে বিশ্বকর্মা পুজো উদযাপন একটি বিশেষ ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর, পুজোর দিন, শ্রমিক এবং যাত্রীরা একসাথে এই বিশেষ অনুষ্ঠান পালন করেন। ১৮ বছর ধরে চলা এই প্রথা আজও একই উৎসাহ ও আবেগ নিয়ে উদযাপিত হয়। ট্রেনের কম্পার্টমেন্টে ভক্তরা মন্ত্র পাঠ করেন, এবং সেখানেই প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। রেলের এই উদ্যোগের মাধ্যমে যাত্রীরা নিজেদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বিশ্বকর্মার আশীর্বাদ লাভের আশা করেন।

এবারের পুজোয়, যাত্রীদের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। দেশজুড়ে বিভিন্ন ট্রেনে পুজোর আয়োজন হচ্ছে, যেখানে শুধু শ্রমিকরাই নয়, বরং সাধারণ যাত্রীরাও অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই চলমান প্রথাটি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে একত্রিত করে, যা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অংশ।

প্রশ্ন ও উত্তর

১. চলন্ত ট্রেনে বিশ্বকর্মা পুজো কীভাবে হয়?

উত্তর: পুজো করার সময় যাত্রীরা একত্রিত হয়ে মন্ত্র পাঠ করেন এবং প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

২. এই পুজোতে কে অংশগ্রহণ করতে পারে?

উত্তর: শ্রমিকরা ও সাধারণ যাত্রীরা উভয়েই অংশগ্রহণ করতে পারেন।

৩. পুজোর সময়ে কি বিশেষ কিছু করা হয়?

উত্তর: পুজোর সময়ে বিশেষ মন্ত্র পাঠ এবং প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

৪. এই পুজো কত বছর ধরে হচ্ছে?

উত্তর: এই পুজো গত ১৮ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

৫. পুজোর উদ্দেশ্য কি?

উত্তর: পুজোর উদ্দেশ্য হল শ্রমের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং বিশ্বকর্মার আশীর্বাদ লাভ করা।

মন্তব্য করুন