শিক্ষার অভাবে ইংরেজি বিভ্রাট: সিপিআইএমের বিতর্কিত মন্তব্যে নন্দিতার আত্মপক্ষ সমর্থন

News Live

শিক্ষার অভাবে ইংরেজি বিভ্রাট: সিপিআইএমের বিতর্কিত মন্তব্যে নন্দিতার আত্মপক্ষ সমর্থন

কলকাতা পুরনিগমের সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায়ের মন্তব্য ‘শকিং, দ্য ওয়ে অভিজিৎদা হ্যাজ বিন ভিক্টিমাইজড…শেম’ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা পালটা অভিযোগ করেছেন, প্রাথমিক স্কুলে ইংরেজি তুলে দিয়ে বামফ্রন্ট সরকার যে ক্ষতি করেছে, সেটাই বুঝা যাচ্ছে। নন্দিতা পরে দাবি করেন, তিনি ইংরেজি ভালো বুঝতে পারেন না এবং ভুলবশত এমন মন্তব্য করেছেন। এই পরিস্থিতির পর সিপিএমের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে তিনি মন্তব্যটি মুছে ফেলেন। রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যে বিশ্বক মুখোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্টের প্রেক্ষিতে এ ঘটনা ঘটে, যা সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।



সম্প্রতি সিপিআইএম নেত্রী নন্দিতা রায়ের একটি মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘শকিং, দ্য ওয়ে অভিজিৎদা হ্যাজ বিন ভিক্টিমাইজড…শেম।’ এরপর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্বস্তি ছড়িয়েছে। যদিও নন্দিতা পরবর্তীতে এই মন্তব্য মুছে ফেলেন, কিন্তু বিতর্ক থামেনি। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের দাবি, প্রাথমিক স্কুলে ইংরেজি তুলে দেওয়ার জন্যই বামফ্রন্টের শিক্ষা নীতির ফল ভোগ করতে হচ্ছে।

এই বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে বিশ্বক মুখোপাধ্যায়ের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে, যেখানে তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় পুলিশি পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করেন। বিশ্বক তার প্রোফাইল পিকচার কালো করে পুলিশকে গ্রেফতারের বিষয়টি ‘ভুল’ উল্লেখ করেন এবং সংহতি জানান।

‘মানুষ অন্যায়কে অন্যায় বলতে ভুলে গিয়েছে’

বিশ্বক-এর পোস্টের নিচে নন্দিতার মন্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘মানুষ অন্যায়কে অন্যায় বলতে ভুলে গিয়েছে, নিজেরা হাজারো অন্যায় করলেও।’ এই কথোপকথন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং সিপিআইএমের শীর্ষ নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

আলিমুদ্দিন থেকে কমেন্ট ডিলিটের নির্দেশ

সূত্রের খবর, আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে নন্দিতাকে দ্রুত মন্তব্য মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। নন্দিতা দাবি করেন, তিনি ইংরেজিতে তেমন দক্ষ নন, তাই ভুল করে এই মন্তব্য করেছেন। এই প্রতিক্রিয়া নিয়ে তৃণমূল নেতারা আবারও আক্রমণ শানান।

ইংরেজি অত বুঝি না, সাফাই CPIM কাউন্সিলরের

নন্দিতার মন্তব্যের পর তৃণমূলের নেতারা বিদ্রূপ করে বলেন, প্রাথমিক স্কুলে ইংরেজি তুলে দেওয়ার ফলে বামফ্রন্টের শিক্ষা ব্যবস্থার কেমন অবস্থা তা স্পষ্ট। এই বিতর্কের ফলে সিপিআইএমের রাজনৈতিক অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে।

সুতরাং, রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছেই এবং সিপিআইএমের এই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এখনও থামেনি।

আভিজিৎকে সমর্থন করার কারণ কী?

আভিজিৎ একজন সৎ নেতা, যিনি জনগণের জন্য কাজ করেন। তার পাশে দাঁড়িয়ে আমরা তার সৎ মানসিকতার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি।

সিপিআইএম কাউন্সিলর কেন সাফাই দিলেন?

কাউন্সিলর মনে করেন, আভিজিৎ যে কাজ করেছেন তা জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তার কাজের প্রতি আস্থা রাখছেন।

এটি কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে?

না, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। এটি একজন সৎ ও কর্মঠ নেতার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা।

জনগণের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে?

জনগণ সাধারণত সৎ কাজের প্রতি সাড়া দেয়। আশা করছি তারা আমাদের সমর্থনকে ভালোভাবে নেবে।

এই সমর্থন কি রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনবে?

সমর্থন দেওয়ার মাধ্যমে আমরা আশা করি রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হবে এবং সৎ নেতাদের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি হবে।

মন্তব্য করুন