আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছিলেন। তারা বিচারের দাবি জানিয়ে স্লোগান তুলেছিলেন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। তবে, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি তুলে আজ থেকে কাজে ফিরেছেন। গত ৩৫ দিন ধরে আন্দোলনের পর, হাসপাতালের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা ১২ ঘণ্টা করে পরিষেবা দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন তুলে নেওয়ার আবেদন করেন এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের এই সিদ্ধান্তে হাসপাতালের রোগীরা আবার চিকিৎসা পেতে শুরু করবেন।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সমাপ্ত
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটার পর জুনিয়র ডাক্তাররা দীর্ঘ ৩৫ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের দাবির মধ্যে ছিল বিচার ও নিরাপত্তা। তবে সম্প্রতি, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের কর্মবিরতি তুলে নিয়ে রবিবার থেকে কাজ শুরু করেছেন। হাসপাতালের এমএসভিপি অর্পণকুমার গোস্বামী তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের কারণে হাসপাতালের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছিল। তবে এখন থেকে তারা ১২ ঘণ্টা করে পরিষেবা দিতে শুরু করেছেন, যা জঙ্গলমহলের মানুষজনের জন্য সুখবর। আন্দোলন চলাকালীন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাদের কাছে গিয়ে আন্দোলন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন এবং তাদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন।
শনিবার, হাসপাতালের নিরাপত্তা ও পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে বাঁকুড়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তারা হাসপাতালের দিকনির্দেশনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বাঁকুড়া হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকরা কেন কাজে ফিরলেন?
জুনিয়র চিকিৎসকরা হাসপাতালের পরিবেশের উন্নতি এবং নিরাপত্তার জন্য কাজ শুরু করেছেন।
কর্মবিরতি কেন হয়েছিল?
কর্মবিরতি হয়েছিল চিকিৎসকদের নিরাপত্তা এবং দাবির কারণে, যা তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছিল।
রবিবার থেকে কাজ শুরু করার পর কী পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে?
রবিবার থেকে কাজ শুরু হলে চিকিৎসা সেবা দ্রুত এবং উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডাক্তারদের দাবিগুলোর মধ্যে কী কী ছিল?
ডাক্তারদের দাবিগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা, যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মপরিবেশের উন্নতি ছিল।
জুনিয়র চিকিৎসকরা এখন কীভাবে কাজ করবেন?
জুনিয়র চিকিৎসকরা এখন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং রোগীদের সেবা দিয়ে কাজ করবেন।