মুখ্যমন্ত্রীর দরজা বন্ধ, জুনিয়র ডাক্তারদের চোখের জল: আন্দোলনের ৩৫ দিনের হতাশা

News Live

মুখ্যমন্ত্রীর দরজা বন্ধ, জুনিয়র ডাক্তারদের চোখের জল: আন্দোলনের ৩৫ দিনের হতাশা

কালীঘাটে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরে তারা হতাশার মধ্যে কাঁদতে শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তারা সুযোগ পাননি। এক ডাক্তার জানান, তারা শুধু বৈঠকের কার্যাবিবরণী নথিভুক্ত করার প্রস্তাবও দিতে রাজি ছিলেন, কিন্তু স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব তাদের মুখের উপর দিয়ে চলে যান। জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, তারা ৩৫ দিন ধরে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছেন এবং যতদিন না তাদের দাবি পূরণ হচ্ছে, ততদিন তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তারা জানান, তাদের এই হতাশা অব্যাহত থাকবে।



কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর দুই জুনিয়র ডাক্তার কেঁদে ফেলেন। হতাশা নিয়ে এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, ‘ওঁনারা দরজাটা বন্ধ করে দিলেন।’ তাঁরা অভিযোগ করেন যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মুখ্যসচিব মনোজ পন্তরা গাড়ি নিয়ে চলে যান এবং তাঁদের কথায় কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, তাঁরা বৈঠকে বসার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের কথা শোনার জন্য কেউ আসেনি।

‘এই বিচারের রাস্তায় আমাদের কিছুটা আশার আলো দেখান’

জুনিয়র ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য কতটা প্রস্তুত ছিলেন, তা তুলে ধরেন। একজন বলেন, ‘আমরা বৈঠকের কার্যাবিবরণী নথিভুক্ত করার প্রস্তাবেও রাজি ছিলাম। আমাদের শুধু কথা বলার সুযোগ দিন। আমাদের বিচার করুন।’ কিন্তু তাঁদের আশা পূরণ হয়নি।

‘মুখের উপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেলেন’

অপর জুনিয়র ডাক্তার অভিযোগ করেন, ‘আমাদের বললেন, চলে যাও। নাহলে বাস ডেকে দিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মুখের উপর দিয়ে ওঁনারা গাড়ি নিয়ে চলে গেলেন। বললেন যে বাস ডেকে বেরিয়ে যাও।’

আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ: ‘ভিডিয়ো ছাড়াই বৈঠকে রাজি হই, তাও কার্যত ঘাড়ধাক্কা বের করে দিলেন চন্দ্রিমা’

‘ম্যাডামের রেসপেক্টটা….’

রাগ ও হতাশা নিয়ে তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের রেসপেক্টের জন্য আমরা সবকিছু মানতে প্রস্তুত ছিলাম। আমরা শুধু চাইছিলাম আমাদের দাবিগুলি শুনুন এবং কিছু সুরাহা করুন।’

আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের কালীঘাট বৈঠক: ‘সন্দীপের গ্রেফতারির খবর পাওয়ায় মিটিংয়ের সাহস হয়নি’

অবশেষে, বৈঠক আর হয়নি। জুনিয়র ডাক্তাররা হতাশা নিয়ে বাসে করে সল্টলেকে নিজেদের অবস্থান মঞ্চের দিকে রওনা দেন। তাঁরা জানিয়েছেন, যতদিন না তাঁদের দাবিগুলি পূরণ হবে এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসক বিচার পাবেন, ততদিন আন্দোলন চলবে। তাঁরা ৩৫ দিন রাস্তায় ছিলেন এবং আরও ৩৫ দিন থাকতে প্রস্তুত।

আরও পড়ুন: মমতা ও টালা থানার ‘ওসি’: ‘টালার সুস্থ ওসিকে ভরতি নেয়নি কেন?’, দাবি CBI

প্রশ্ন ১: ডাক্তাররা কেন কাঁদছেন?

উত্তর: ডাক্তাররা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে তাদের সমস্যার জন্য কাঁদছেন, কারণ তারা দরজা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে সাহায্য পাচ্ছেন না।

প্রশ্ন ২: তারা কি ধরনের সমস্যার মধ্যে আছেন?

উত্তর: তারা চাকরি, বেতন এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, এবং তাদের দাবি পূরণের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করছেন।

প্রশ্ন ৩: ডাক্তারদের এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য কি?

উত্তর: ডাক্তারদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য হল তাদের দাবি এবং সমস্যাগুলি সরকার এবং প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা।

প্রশ্ন ৪: কেন তারা মমতার বাড়ির সামনে গিয়েছিলেন?

উত্তর: তারা মনে করেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য পেলে তাদের সমস্যা সমাধানে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

প্রশ্ন ৫: তারা কি ধরনের সমাধান খুঁজছেন?

উত্তর: তারা চাকরি, বেতন বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপের দাবি করছেন।

মন্তব্য করুন