রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে একটি বার্তা দিয়েছেন, যেখানে তিনি মমতাকে ‘লেডি ম্যাকবেথ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, রাজ্যে নৈরাজ্য চলছে এবং বর্তমান সরকার আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তৃণমূল নেতা গৌতম দেব রাজ্যপালের বক্তব্যকে নিয়ে মজা করে মন্তব্য করেন, রাজ্যপাল বক্তৃতার সময় টেলিপ্রম্পটার ব্যবহার করছেন এবং তার সানগ্লাসে টেলিপ্রম্পটারের প্রতিফলন ঘটছে। রাজনীতির এই নাটকীয়তায় রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বার্তা এবং তৃণমূল নেতা গৌতম দেবের প্রতিক্রিয়া
রাজ্যে ডাক্তারদের আন্দোলনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একটি বার্তা দিয়েছেন। রাজভবনের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করা ওই বার্তার ভিডিওতে রাজ্যপাল মমতাকে ‘লেডি ম্যাকবেথ’ বলেও সম্বোধন করেছেন। শিলিগুড়ির মেয়র এবং তৃণমূল নেতা গৌতম দেব এ নিয়ে রাজ্যপালের উপর হাস্যরস করে মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল টেলিপ্রম্পটার দেখে বক্তৃতা দিচ্ছেন এবং তার সানগ্লাসে সেই টেলিপ্রম্পটারের প্রতিফলন ঘটছে। গৌতম দেব এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘স্যার, অনুগ্রহ করে রেয়ব্যানের সানগ্লাসটা খুলে নিন। আপনার টেলিপ্রম্পটারের প্রতিফলন হচ্ছে সানগ্লাসে।’
রাজ্যপাল তার ভিডিওতে বলেন, ‘বাংলা আজ এক নৈরাজ্যের দেশে পরিণত হয়েছে এবং এর দায়িত্ব কাউকে নিতে হবে। যতদিন বাংলার মানুষ সুবিচার না পাচ্ছেন, ততদিন আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কট করার সংকল্প নিচ্ছি।’
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের রাজনৈতিক আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাজ্যপালের বক্তব্যে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক দলের মধ্যে নতুন করে বিতর্কের সূচনা হবে কিনা, তা দেখার বিষয়।
রাজ্যপাল কি কারণে ট্রোল হলেন?
রাজ্যপাল সানগ্লাস পরে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তাই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা তাকে ট্রোল করেছেন।
টেলিপ্রম্পটার কি?
টেলিপ্রম্পটার হল একটি যন্ত্র যা বক্তাকে বক্তব্য পড়তে সাহায্য করে, যাতে তারা দর্শকদের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারে।
সানগ্লাস পরার প্রভাব কি?
সানগ্লাস পরলে বক্তার চোখ দেখা যায় না, ফলে তার বক্তব্যের প্রতি শ্রোতাদের মনোযোগ কমে যেতে পারে।
রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া কি ছিল?
রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি, তবে তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেন কিনা তা জানা যায়নি।
এ ধরনের ট্রোলিং কি সাধারণ?
হ্যাঁ, রাজনীতিতে অনেক সময় নেতাদের ব্যক্তিগত বা অঙ্গভঙ্গি নিয়ে ট্রোল করা হয়, এটা সাধারণ একটি ঘটনা।