দুর্গাপুজোর আগেও বাংলাদেশ প্রতি বছর পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ পাঠাত। কিন্তু এ বছর, বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকার ইলিশ রফতানির আবেদন খারিজ করেছে। দেশটির মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে, এবারে ভোজনরসিক বাঙালিরা পদ্মার ইলিশ থেকে বঞ্চিত হবে। পূর্বে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৫ হাজার টন ইলিশ রফতানি করলেও, ২০১২ সালে তা নিষিদ্ধ করা হয়। ২০১৯ থেকে দুর্গাপুজোর সময়ে কিছু ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার পাচার হয়ে ইলিশ কলকাতায় আসছে এবং বাজারে মায়ানমার ও গুজরাটের ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ইলিশ রফতানি বন্ধ: দুর্গাপুজোর আগে দুঃখজনক খবর
প্রতি বছর দুর্গাপুজোর আগে বাংলাদেশ পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে পাঠানোর একটি সুন্দর রীতি ছিল। কিন্তু এ বছর সেই রীতি ভঙ্গ হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকার ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা ভারতে ইলিশ রফতানি করবে না। এই সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ী মহলে হতাশা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশি মাছ রফতানিকারকদের একটি সংস্থা প্রতি বছর সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে ইলিশ রফতানির অনুমতি চেয়ে থাকে। গত ৯ অগস্টও তারা একটি চিঠি দিয়েছে, তবে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন, যা এই সিদ্ধান্তের পেছনে অন্যতম কারণ।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বাঙালির পাতে পদ্মার ইলিশ পড়বে না। কারণ, ডিম পাড়ার কারণে ২২ দিনের জন্য ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ, যিনি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি, তিনি জানিয়েছেন যে, পেট্রাপোল ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের মাধ্যমে বছরে প্রায় ৫ হাজার টন ইলিশ আমদানি হতো। কিন্তু ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার এই বাণিজ্য নিষিদ্ধ করে এবং ২০১৯ সালে দুর্গাপুজোর সময় সীমিত রফতানির অনুমতি দেয়।
গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ১৩০০ টন ইলিশ রফতানি করেছিল, যা ২০২২ সালের মতোই ছিল। তবে এবার সরকার অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে কম ইলিশ পাচার হচ্ছে, যা ত্রিপুরার সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় আসছে। এছাড়াও, মায়ানমার এবং গুজরাটের ইলিশও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
পদ্মা ইলিশ কি?
পদ্মা ইলিশ হচ্ছে বাংলাদেশের পদ্মা নদী থেকে ধরা ইলিশ মাছ, যা স্বাদ ও গুণাগুণের জন্য বিখ্যাত।
বাংলাদেশ সরকার কেন ইলিশ রফতানি বন্ধ করেছে?
বাংলাদেশ সরকার চাহিদা বাড়ানোর জন্য এবং স্থানীয় বাজারের নিরাপত্তার জন্য ইলিশ রফতানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা কেন আর্জি জানাচ্ছে?
ব্যবসায়ীরা ইলিশ রফতানি পুনরায় শুরু করার জন্য আরজি জানাচ্ছে, কারণ তারা ব্যবসার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এখনকার অবস্থায় ইলিশের দাম কেমন?
এখনকার অবস্থায় ইলিশের দাম বেশ উঁচু, কারণ রফতানি বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাজারে চাহিদা বেশি।
ভবিষ্যতে কি ইলিশ রফতানি আবার শুরু হবে?
ভবিষ্যতে ইলিশ রফতানি শুরু হবে কিনা, তা সরকারের নীতি ও বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।