বিচারের জন্য নয়, চেয়ার চেয়ে আন্দোলন; মমতার নবান্নে অস্বস্তির নতুন অধ্যায়

News Live

বিচারের জন্য নয়, চেয়ার চেয়ে আন্দোলন; মমতার নবান্নে অস্বস্তির নতুন অধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে অপেক্ষা করছিলেন, কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকে আসেননি। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সমস্যা হওয়ায় আলোচনা হয়নি, ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। তৃণমূল নতুন প্রসঙ্গ তুলে ধরেছে, যেখানে তারা বিজেপির বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছে যে তারা কখনও প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে সৎ আলোচনা করেনি। মমতা জানিয়েছেন, বিচারাধীন বিষয়গুলোর কারণে লাইভ টেলিকাস্ট করা সম্ভব হয়নি। তিনি ডাক্তারদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতির বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত ছিলেন, কিন্তু বৈঠকে ডাক্তাররা উপস্থিত হননি। মমতা বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাচ্ছেন এবং জানান যে তিনি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।



মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ডাক্তারদের বৈঠক বাতিল, অস্বস্তিতে তৃণমূল

নবান্নে অপেক্ষা করছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা নবান্নের দরজায় এসে উপস্থিত হন। কিন্তু লাইভ স্ট্রিমিং না হওয়ার ফলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়নি। এর ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে এবং তৃণমূলের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছে।

বৈঠকটি না হওয়ার ফলে সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা কমে গেছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে নতুন একটি বিষয় সামনে আনা হয়েছে। তাদের দাবি, বিজেপির কোনও মুখ্যমন্ত্রী কখনো প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য ১.৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করেনি। এর মাধ্যমে তারা বিজেপির গণতান্ত্রিক আলোচনার প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন।

তৃণমূলের দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে একটি পার্থক্য বোঝা উচিত। তারা জানায়, ইতিহাসের সঠিক দিকে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন, এই পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও কি তারা তৃণমূল সরকারের উপর আস্থা রাখতে পারছেন? লাইভ স্ট্রিমিংয়ে সমস্যা কী ছিল?

লাইভ স্ট্রিমিংয়ে সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আমরা টেলিকাস্টের ব্যাপারে ওপেন মাইন্ডেড। তবে বিচারাধীন বিষয়ে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। সুপ্রিম কোর্টের মামলা নিয়ে যদি আমরা হঠাৎ করে টেলিকাস্ট করি, তাহলে আমাদের দায়বদ্ধতা কী হবে?”

তিনি জানান, “আমরা ডাক্তারদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি নিয়ে আলোচনায় রাজি ছিলাম। কিন্তু বিচারাধীন মামলার কারণে লাইভ সম্প্রচারে সমস্যা হয়েছে। আমি তিনবার চেষ্টা করলাম, কিন্তু ডাক্তাররা আসেননি।”

মমতা আরও বলেন, “আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি, কিন্তু তারা বিচার চাচ্ছে না, চেয়ার চাচ্ছে।” তিনি বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং বলেছেন যে, অনেক ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

প্রশ্ন ১: বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীদের অপেক্ষা কেন?

উত্তর: বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীদের আলোচনা করার জন্য এতক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে কারণ তাদের কাছে সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক সময় ছিল না।

প্রশ্ন ২: তৃণমূল কেন মন্তব্য করেছে?

উত্তর: তৃণমূল মন্তব্য করেছে কারণ তারা মনে করে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীদের উচিত ছিল দ্রুত আলোচনায় আসা।

প্রশ্ন ৩: এই পরিস্থিতির ফলে কি হবে?

উত্তর: এই পরিস্থিতির ফলে রাজনৈতিক আলোচনা বিলম্বিত হতে পারে এবং সমস্যা সমাধানে সময় লাগবে।

প্রশ্ন ৪: বিজেপি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে?

উত্তর: বিজেপি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিকল্পনার ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।

প্রশ্ন ৫: তৃণমূল এই অবস্থানে কি করতে চায়?

উত্তর: তৃণমূল চায় বিজেপি দ্রুত আলোচনা শুরু করুক এবং সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করুক।

মন্তব্য করুন