জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে না দাঁড়িয়ে, পুলিশের চাপের মুখে স্বজনদের আত্মসমর্পণ: মুখ্যমন্ত্রীর বিষাক্ত মন্তব্যের প্রতিবাদ

News Live

জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে না দাঁড়িয়ে, পুলিশের চাপের মুখে স্বজনদের আত্মসমর্পণ: মুখ্যমন্ত্রীর বিষাক্ত মন্তব্যের প্রতিবাদ

জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থনে স্বাস্থ্যভবনের সামনে এসে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন আরজি কর মেডিক্যালের নিহত মহিলা চিকিৎসকের মা। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ তাঁকে মৃতদেহ হস্তান্তরের নথিতে সই করতে বাধ্য করেছে। তাঁর সাথে ছিল কেবল ভাগ্নে, অন্য কোনো পরিবারের সদস্য ছিলেন না। পুলিশি চাপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমকে ডেকে আনলে পরিস্থিতি প্রকাশ্যে আসতে পারত। নির্যাতিতার বাবা-মা মুখ্যমন্ত্রীর টাকার প্রস্তাবের দাবিকে নিত্যনতুন দাবি করে নিন্দা করেছেন। তাঁরা সিবিআইয়ের ওপর ভরসা রাখছেন এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।



আরজি কর মেডিক্যালের নিহত চিকিৎসকের মা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নিহত মহিলা চিকিৎসকের মা স্বাস্থ্যভবনের সামনে এসে জুনিয়র চিকিৎসকদের মনোবল বাড়ানোর জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ তাঁকে মৃতের দেহ হস্তান্তরের নথিতে সই করতে চাপ দিয়েছে।

নিহতের মা জানান, “হাসপাতালে কমিশনার সোমনাথ দে আমাকে জোর করে বডি হ্যান্ডওভারের সার্টিফিকেটে সই করিয়েছিলেন। আমাদের হাত থেকে পুলিশের হাতে বডি চলে যাচ্ছে। ওই সময় আমার পাশে শুধুমাত্র আমার ভাগ্নে ছিল।” তিনি আরও বলেন, “আমি টালা থানায় গিয়ে আমার মেয়ের দেহ রাখতে চেয়েছিলাম, তখন ৩ থেকে ৮শো পুলিশ আমাদের ঘিরে ফেলে।”

এই ঘটনায় জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রতি তাঁদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তাঁরা সিবিআইয়ের ওপরেও ভরসা রেখেছেন। নির্যাতিতার মা বলেন, “যখন পুলিশ আমাকে সই করতে চাপ দিচ্ছিল, তখন সংবাদমাধ্যমকে ডেকে আনলে সবাই জানতে পারত কী চলছে।”

নিহতের বাবাও মুখ্যমন্ত্রীর টাকার প্রস্তাব দেওয়ার দাবি নিয়ে ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে নিকৃষ্টতম কথা বলেছেন, তা আমরা মানি না। আমার মেয়ের দেহ শোয়ানো ছিল, তখন আমাদের কাছে এই অফার দেওয়া হয়েছিল।”

এভাবে, নিহত চিকিৎসকের পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন এবং সিবিআইয়ের তদন্তের জন্য তাঁরা আশাবাদী।

প্রশ্ন ১: এই ঘটনার মধ্যে পুলিশের ভূমিকা কি ছিল?

উত্তর: পুলিশ মেয়ের দেহ দখল করতে জোর করে কাগজে সই করিয়েছে, যা আইন বিরুদ্ধ।

প্রশ্ন ২: মেয়েটির কি অবস্থা এখন?

উত্তর: মেয়েটি মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

প্রশ্ন ৩: এই ঘটনার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

উত্তর: অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

প্রশ্ন ৪: এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কি করা যেতে পারে?

উত্তর: সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং অভিযোগ জানাতে হবে, যাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জবাবদিহি করতে হয়।

প্রশ্ন ৫: সরকারের কি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?

উত্তর: সরকারের উচিত দ্রুত তদন্ত করা এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

মন্তব্য করুন