আরজি কর হাসপাতাল: চিকিৎসকের ধর্ষণ ও মৃত্যুর পর আন্দোলনের স্রোত

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তার দাবি উঠেছে। জুনিয়র ডাক্তাররা প্রতিবাদে নেমেছে এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ ও পরীক্ষার নম্বর কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। অধ্যক্ষ ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, অভিযুক্ত চিকিৎসকরা তাঁদের ভয় দেখাচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বউবাজার থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ভবনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।



বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে গেছে। নিরাপত্তার দাবি তুলে জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ রাস্তায় মিছিল করছেন। এদিকে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’ এবং পরীক্ষায় নম্বর কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষ কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

অঞ্জন মণ্ডলসহ কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন, তিন ডাক্তার তাঁদের ভয় দেখাচ্ছেন। বউবাজার থানায় এ বিষয়ে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন এবং আন্দোলন শুরু করেছেন।

এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারকে বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো চিঠি পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, বহিরাগত সংস্থার মাধ্যমে খাতা দেখানো ও নতুনভাবে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়েছে এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

থ্রেট কালচার কি?

থ্রেট কালচার মানে হলো চাপ বা ভয় দেখিয়ে কিছু করা বা যাতে অন্যরা কিছু না করতে পারে, সেই পরিস্থিতি তৈরি করা।

বর্ধমান হাসপাতালে নম্বর কারচুপির অভিযোগ কেন উঠেছে?

বর্ধমান হাসপাতালে পরীক্ষায় নম্বর কারচুপির অভিযোগ উঠেছে কারণ কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছে যে তাদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং অন্যদের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটি গঠন করার কারণ কি?

তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে যাতে অভিযোগগুলোর সঠিকতা যাচাই করা যায় এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

এই তদন্ত কমিটিতে কে কে থাকবেন?

তদন্ত কমিটিতে শিক্ষাবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং অন্য বিশেষজ্ঞরা থাকবেন যারা বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করবেন।

কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হলে কি হবে?

যদি কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Comment