কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ২০১০ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে পর্ষদকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। অভিযোগ উঠেছে, ২০০ জন যোগ্য প্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও মেধা তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এই প্রার্থীরা উত্তর ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থী, যারা ২০১১ সালে হওয়ার কথা ছিল পরীক্ষায়। কিন্তু পরীক্ষা বাতিল হয় এবং ২০১৪ সালে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হয়। মামলাকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁদের মেধা তালিকায় স্থান না পাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যা মামলার পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কলকাতা হাইকোর্টের নজরে ২০১০ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের অস্বচ্ছতা
২০১০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ২০০ জন যোগ্য প্রার্থীকে মেধা তালিকা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ভর্ৎসনা করেছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা পর্ষদকে প্রশ্ন করেছেন, যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও কেন তাদের বঞ্চিত করা হল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালে উত্তর ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিলেন। ২০১১ সালে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটি বাতিল হয়। ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ লিখিত পরীক্ষা হয়, এবং একই বছরের ১১ নভেম্বর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হয়। অভিযোগ উঠেছে, এই ২০০ জন প্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও মেধা তালিকায় স্থান পাননি।
মামলাকারীদের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, তাদের নাম্বার বেশি হওয়া সত্ত্বেও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। বিচারপতি পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন এবং আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন। পর্ষদের আইনজীবী কিছু সময়ের জন্য রিপোর্ট জমা দেওয়ার আবেদন করেছেন, তবে বিচারপতি তাদের জন্য সময় বাড়াতে রাজি হননি।
এই মামলাটি শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে এবং তা নিয়ে সকলের নজর রয়েছে।
১. ২০১০ সালের প্রাথমিকে বঞ্চিত প্রার্থীরা কিভাবে হাইকোর্টে আবেদন করতে পারবে?
উত্তর: প্রার্থীরা হাইকোর্টে তাদের বঞ্চনার বিষয়ে আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি ও তথ্য সঠিকভাবে জমা দিতে হবে।
২. হাইকোর্টের রিপোর্ট কেন তলব করা হয়েছে?
উত্তর: হাইকোর্ট ২০১০ সালের প্রাথমিকে বঞ্চিত ২০০ জন প্রার্থীর বিষয়ে সঠিক তথ্য ও রিপোর্ট তলব করেছে যাতে তাদের সমস্যার সমাধান করা যায়।
৩. এই মামলার শুনানি কবে হবে?
উত্তর: মামলার শুনানির তারিখ হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে। প্রার্থীদের নিয়মিত আপডেটের জন্য আদালতের ওয়েবসাইট দেখতে হবে।
৪. প্রার্থীরা কি নিজেদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, প্রার্থীরা নিজেদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারে যাতে তাদের পক্ষে সঠিকভাবে মামলা পরিচালনা করা যায়।
৫. হাইকোর্টের রায় যদি প্রার্থীদের পক্ষে হয়, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে?
উত্তর: যদি হাইকোর্টের রায় প্রার্থীদের পক্ষে আসে, তবে প্রার্থীদের চাকরির প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।