শনিবার, পরিচালক অরিন্দম শীলকে ডিরেক্টর্স গিল্ড থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অরিন্দমের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ এসেছে, যা নিয়ে টলিপাড়ার অভিনেত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শতরূপা সান্যাল তার পোস্টে বাংলা সিনেমার নোংরা পরিস্থিতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং মেয়েদের আন্দোলনের জন্য উৎসাহিত করেছেন। অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্রও অরিন্দমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, যেখানে তিনি অশালীন আচরণের কথা উল্লেখ করেছেন। এই ঘটনার পর, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবেদন করেছেন, যা চলচ্চিত্র মহলের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনায় মহিলাদের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অরিন্দম শীলের সাসপেনশন: বাংলা সিনেমায় নতুন বিতর্ক
শনিবার ডিরেক্টর্স গিল্ড থেকে পরিচালক অরিন্দম শীলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মেল মারফত তাকে এই সাসপেনশনের নোটিস পাঠানো হয়েছে। ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অরিন্দম শীলের ‘এই সাজা পাওয়া’ নিয়ে রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং শতরূপা সান্যাল। কিছুদিন আগে টলিপাড়ায় মহিলাদের দুরবস্থার বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন ঋতাভরী। আর এবার অরিন্দমের সাসপেনশনের খবর আসার পর শতরূপা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।
শতরূপা তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন, ‘বাংলা সিনেমা ও থিয়েটারের নোংরা সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। সাবাস, মেয়েরা! এখানে থেমোনা! পুরুষ ও পুরুষতন্ত্রের প্রভুত্বের দিন শেষ হোক!’ তিনি শনিবারের তারিখটি উল্লেখ করে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যেন এই দিনটি সবার মনে থাকে।
শতরূপার পোস্টটি নিয়ে নেটিজেনরা নানা মন্তব্য করেছেন। কেউ বলেছেন, ‘একটি মাত্র আগাছা উপড়ানো হল, কিন্তু আরও কত আছে কে জানে।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মি টু আন্দোলন তো আগেই শুরু হয়েছিল, সেখানে যেসব নাম বেরিয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকেই আজকের প্রতিবাদী আন্দোলনে রয়েছেন।’
এছাড়াও, অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ এনেছিলেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে অরিন্দম তাকে চিত্রনাট্য শোনানোর সময় অশালীন আচরণ করেন।
এদিকে, শনিবার রাতেই স্বস্তিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘পাপের ঘোড়া উল্টোয়। ভেবেছিলাম বোধহয় নিজের জীবনে দেখতে পারবো না।’ এভাবে বাংলা সিনেমার জগতে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যা সামনে আরও আলোচনা নিয়ে আসবে।
১. ঝেঁটিয়ে বিদায় কর… বইটির কাহিনি কি?
বইটি যৌন হেনস্থার অভিযোগ এবং তার প্রভাব নিয়ে। এতে একজন নারীর সংগ্রাম এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে।
২. অরিন্দম শীল কেন সাসপেন্ড হলেন?
অরিন্দম শীল যৌন হেনস্থার অভিযোগের কারণে সাসপেন্ড হয়েছেন, যা সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়।
৩. শতরূপা এবং ঋতাভরীর কি প্রতিক্রিয়া ছিল?
শতরূপা এবং ঋতাভরীর মা এই ঘটনার জন্য খুশি হয়েছেন, কারণ তারা মনে করেন যে, এই পদক্ষেপ সঠিক।
৪. বইটি কিভাবে সমাজে প্রভাব ফেলবে?
বইটি সমাজের মানুষের সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে কথা বলার উৎসাহ দেবে।
৫. এই বইটি কাদের জন্য উপযোগী?
এই বইটি সব বয়সের পাঠকের জন্য উপযুক্ত, বিশেষ করে যারা নারীর অধিকার এবং সামাজিক ন্যায় নিয়ে আগ্রহী।