সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মহিলার বিস্ফোরক অভিযোগ: করোনাকালে দুর্নীতি ও অত্যাচার

সন্দীপ ঘোষকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এক মহিলা অভিযোগ করেছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর সময় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে সন্দীপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছিল, যার ফল ভুগতে হয়েছে তাঁর মেয়েকে। মহিলা দাবি করেছেন, সন্দীপ তাঁর মেয়েকে অকথ্য অত্যাচার করেছেন এবং ইন্টার্নশিপ শেষ করার বিষয়টি আটকে রেখেছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল এবং আন্দোলনের সময় তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। মহিলার দাবি, তাঁর মেয়েকে শপথবাক্য পাঠানোর জন্য বহু চেষ্টা করেও সফল হননি। এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি বিস্ফোরক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।



যত দিন যাচ্ছে, সন্দীপ ঘোষের নতুন নতুন অভিযোগ সামনে আসছে। এবার এক মহিলা অভিযোগ করেছেন যে, করোনাভাইরাস মহামারীর সময় সন্দীপকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হলে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছিল। তিনি দাবি করেছেন, ওই সময় তাঁর মেয়ে এবং বন্ধুদের ওপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, সন্দীপের নির্দেশে মেয়েকে বেশি ডিউটি দেওয়া হত এবং ইন্টার্নশিপ শেষ করার বিষয়টি আটকে দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে, ওই মহিলাকে স্বাস্থ্যভবনে ১৭ দিন ধরে ছুটতে হয়েছিল।

সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

মহিলার অভিযোগের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে মহিলাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘লুকিয়ে-চুরিয়ে সন্দীপকে আরজি করে পাঠানো হয়েছিল। ঢুকে থেকেই শুরু হয়েছিল দুর্নীতি চক্র।’ তিনি আরও বলেন, ইন্টার্নশিপ করতে গিয়ে তার মেয়ে ও বন্ধুরা তিন মাসের মধ্যে সন্দীপের দুর্নীতির বিষয়টি বুঝতে পারে।

আরও পড়ুন: RG Kar Lady Doctor’s Dream: ‘মা আমার টাকা চাই না, নামের পাশ অনেক ডিগ্রি চাই’, বলেছিলেন RG করের তরুণী চিকিৎসক

স্বাস্থ্যভবনে সন্দীপের গা-ঢাকা

মহিলার দাবি, ২০২১ সালের অক্টোবরে যখন সন্দীপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল, তখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সন্দীপ পরে স্বাস্থ্যভবনে ‘গা-ঢাকা’ দিয়েছিল এবং উপরমহল থেকে চাপ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: Sandip Ghosh and Kolkata Police: সন্দীপের ‘ঘরে যেতে বাবা-মা’কে এত ফোর্স করছিল পুলিশ, যেন বেঁচে যেত ওখানে গেলে’

মহিলা অভিযোগ করেছেন, মেয়ের ইন্টার্নশিপ শেষ হওয়ার পরও শুধুমাত্র কথার জন্য তাঁকে স্বাস্থ্যভবনে ছুটতে হয়েছে। বলেন, ‘আমার মেয়ে বলেছিল, স্যার আমায় কনভোকেশনটা দিন। কিন্তু সেদিন দেয়নি।’ তিনি আরও দাবি করেছেন যে, নাম থাকা সত্ত্বেও সন্দীপ তাঁকে হাউজস্টাফশিপ করতে দেননি। বাধ্য হয়ে তাঁর মেয়েকে অন্যত্র সেই কাজ করতে হয়েছিল।

আরও পড়ুন: Double murder convicted ‘CPIM’ man: ২ জনকে মেরে জেলে, প্রাণভয়ে ছিলেন স্ত্রী’রা, সেই ‘লাল’ দুলালও চাইলেন RG করের বিচার?

প্রশ্ন ১: ওই তরুণী ডাক্তার কেমন পরিস্থিতিতে ছিলেন?

উত্তর: তরুণী ডাক্তার বলছেন, সন্দীপ ঘরে ডেকে তাকে হুমকি দিয়েছিল।

প্রশ্ন ২: সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী?

উত্তর: অভিযোগ হচ্ছে যে, সন্দীপ তার উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে এবং অসন্তোষজনক আচরণ করেছে।

প্রশ্ন ৩: ওই ডাক্তার তার মাকে কী বলেছিলেন?

উত্তর: ডাক্তার তার মাকে পুরো ঘটনার কথা জানিয়েছেন এবং সাহায্যের আবেদন করেছেন।

প্রশ্ন ৪: এই ঘটনার পর তরুণীটি কী পদক্ষেপ নিয়েছে?

উত্তর: তরুণীটি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরিকল্পনা করছে।

প্রশ্ন ৫: সমাজে এই ধরনের ঘটনার প্রতিক্রিয়া কী?

উত্তর: সমাজে এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাড়ছে এবং নারীদের সুরক্ষার জন্য আরও সচেতনতা তৈরি হচ্ছে।

Leave a Comment