দুর্গাপুজোর আগে কলকাতায় হকারদের প্রতি ‘নো-স্টেপ’ নীতি

কলকাতায় দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে, আর হকাররা ফুটপাতে বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করতে শুরু করেছেন। যদিও রাজ্য সরকার হকারদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এখন তারা হকারদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবে না। সম্প্রতি, কলকাতা পুরসভা একটি সমীক্ষা সম্পন্ন করেছে, যেখানে শহরের ফুটপাতে বসা ৫৪,১৭৮ হকারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এই সমীক্ষার মাধ্যমে হকারদের নাম, প্যান কার্ড, আধার কার্ড এবং লোকেশন জিও ট্যাগিং করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হকারদের পুনর্বাসন করা হবে, তবে দুর্গাপুজোর সময় তাঁদের ব্যবসায় কোনো বাধা দেওয়া হবে না। উৎসবের পর হকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।



দুর্গাপুজোর আগে কলকাতায় হকারদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ হবেনা

হাতে আর ৩২ দিন, তারপর শুরু হবে রাজ্যের ধুমধাম দুর্গাপুজো। এই আবহে ফুটপাতে থাকা হকাররা বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। তবে, সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধা না হয়, সেই জন্য রাজ্য সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। সম্প্রতি হকার উচ্ছেদ নিয়ে একটি ঘটনা ঘটেছে, এবং কলকাতা শহরে হকারদের নিয়ে সমীক্ষার কাজও শেষ হয়েছে। কিন্তু কলকাতা পুরসভা এখনই হকারদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে না।

শহরের ফুটপাতে বসা হকারদের নথিভুক্ত করা হয়েছে, তবে যাঁরা রাস্তায় বসে ব্যবসা করছেন, তাঁদের তথ্য এই সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে কোন রাস্তায়, কোন ফুটপাতে কে ও কী ব্যবসা করছেন। প্রত্যেক হকারের নাম, প্যান কার্ড, আধার কার্ডসহ লোকেশন জিও ট্যাগিং করে ডিজিটাল সমীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্টে হকারদের ব্যবসার ধরন ও সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে।

কলকাতা পুরসভার এক অফিসার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকার সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য হকারদের উচ্ছেদ করা নয়, বরং প্রত্যেক হকারকে পুনর্বাসন দেওয়া। দুর্গাপুজোর সময় কারও রোজগারে বিঘ্ন ঘটানো ঠিক হবে না, তাই আপাতত হকারদের নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। উৎসবের মরশুম শেষে হকারদের নিয়ন্ত্রণ এবং পুনর্বাসন নিয়ে ভাবা হবে।

হকার সমীক্ষার কাজ করতে ৬৫০ জন পুরসভার কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল, এবং এই কাজ ১৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়। বর্তমানে নন–ভেন্ডিং জোনে বসা হকারদের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। এই সমীক্ষায় মোট ৫৪ হাজার ১৭৮ জন হকার নথিভুক্ত হয়েছেন। সমীক্ষা রিপোর্ট জমা হওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আপাতত হকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ হবে না। দুর্গাপুজোর বাজারের জন্য হকারদের ব্যবসা অব্যাহত থাকবে, এবং রাজ্য সরকার এই সময়ে গরিব মানুষের ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষিত থাকবে।

শহরে হকার সমীক্ষার কাজ কেন শেষ হলো?

হকার সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে কারণ কলকাতা পুরসভা শহরের হকারদের সংখ্যা এবং তাদের অবস্থান জানার জন্য এই সমীক্ষা করেছে।

দুর্গাপুজোর আগে কলকাতা পুরসভা কি পদক্ষেপ নেবে?

কলকাতা পুরসভা দুর্গাপুজোর আগে কোনও পদক্ষেপ নেবে না, তারা সমীক্ষার ফলাফল পরে বিশ্লেষণ করবে।

হকারদের জন্য এই সমীক্ষার গুরুত্ব কি?

এই সমীক্ষা হকারদের সমস্যা এবং তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে সাহায্য করবে, যা ভবিষ্যতে পদক্ষেপ নিতে কার্যকর হবে।

হকারদের কি সুবিধা হবে এই সমীক্ষার ফলে?

সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী হকারদের জন্য সুবিধা বা নীতি নির্ধারণ করা হবে, যা তাদের কাজকে সুষ্ঠু করতে সাহায্য করবে।

এই সমীক্ষার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে?

সমীক্ষার ফলাফল পরে বিশ্লেষণ করা হবে এবং তারপর কলকাতা পুরসভা সিদ্ধান্ত নেবে কিভাবে হকারদের নিয়ে এগিয়ে চলা যাবে।

Leave a Comment