অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে আন্দোলনরত ডাক্তারদের ক্ষোভ

কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালের অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশে এটি করা হয়েছে, যেখানে জুনিয়র ডাক্তার ও মেডিক্যাল পড়ুয়ারা নিরাপত্তার অভাবসহ নানা দাবিতে আন্দোলন করছিল। নতুন অধ্যক্ষ হিসাবে মণিদীপ পালকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনরত ডাক্তাররা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত এবং তারা অধ্যক্ষের অফিস ঘেরাও করে তাদের দাবি জানান। জুনিয়র ডাক্তাররা পরিষ্কার জানিয়েছেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত তারা চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারবেন না। চিকিৎসকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনে অভিযোগও দায়ের হয়েছে।



কল্যাণী মেডিসিন কলেজের অধ্যক্ষকে সরানো হলো

কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালের অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে পদ থেকে সরানো হয়েছে। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশে এই পরিবর্তন ঘটেছে। জুনিয়র ডাক্তার এবং মেডিক্যাল পড়ুয়ারা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন, বিভিন্ন দাবিতে তারা হাসপাতালের নিরাপত্তার অভাবের কথাও বলছিলেন। অধ্যক্ষের পদ থেকে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে মণিদীপ পালকে নিয়োগ করা হয়েছে।

অধ্যক্ষের বদলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার ও মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। তারা দাবি করেছেন, নিরাপত্তার অভাব এবং সিসিটিভি ক্যামেরার অভাবে পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আন্দোলনরত ডাক্তাররা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা সাধারণ ও জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে পারবেন না।

নতুন অধ্যক্ষের নিয়োগের পেছনে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের চিঠির প্রভাব রয়েছে। তারা অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিচ্ছে না। জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে আলিম বিশ্বাস বলেছেন, “আমরা জানি রোগীদের সমস্যা হবে, কিন্তু আমরা নিরুপায়।” তারা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত পানীয় জল এবং শৌচাগারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন।

এই ঘটনার ফলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সিনিয়র ডাক্তাররা পরিষেবা দিতে বাধ্য হচ্ছেন, তবে জুনিয়র ডাক্তারদের অনুপস্থিতিতে রোগী এবং তাদের পরিবাররা অসুবিধায় পড়ছেন।

কল্যাণীর জেএন‌এম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কেন অপসারিত হয়েছেন?

অধ্যক্ষকে অপসারণের কারণ হিসেবে জরুরি পরিষেবার সমস্যা এবং প্রশাসনিক অদক্ষতা উল্লেখ করা হয়েছে।

জরুরি পরিষেবা বন্ধ হওয়ার মানে কি?

জরুরি পরিষেবা বন্ধ হওয়ার মানে হল রোগীদের জরুরি চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না, যা স্বাস্থ্যসেবার জন্য খুবই ক্ষতিকর।

এখন রোগীরা কোথায় চিকিৎসা নেবেন?

রোগীরা অন্য নিকটবর্তী হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য যেতে পারেন যতক্ষণ জরুরি পরিষেবা পুনরায় চালু না হয়।

কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জরুরি পরিষেবা পুনরায় চালুর জন্য?

প্রশাসন জরুরি পরিষেবা পুনরায় চালুর জন্য নতুন ব্যবস্থাপনা এবং কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে।

এতে রোগীদের কি প্রভাব পড়বে?

রোগীদের চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হওয়ার কারণে তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ হতে পারে, যা উদ্বেগের বিষয়।

Leave a Comment