জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন: নতুন ভোরের সূচনা কলকাতায়

News Live

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন: নতুন ভোরের সূচনা কলকাতায়

কলকাতায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলাকালীন পুলিশ ও ডাক্তারদের মধ্যে একটি নতুন সম্পর্কের সূচনা হয়েছে। আন্দোলনের সময় জাতীয় সংগীত গেয়ে একত্রিত হন ডাক্তার এবং পুলিশ। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করার অনুমতি পেয়ে, ডাক্তাররা পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। এই বৈঠকের সময় ডাক্তারদের হাতে একটি প্রতীকী মেরুদণ্ড উপহার দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের মানবিক আচরণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, যেখানে পুলিশ আন্দোলনকারীদের হাতে জল ও খাবার তুলে দেয়। এই আন্দোলন চলাকালীন স্বাস্থ্যকর্মীরা উল্টোডাঙা থেকে পাটুলি পর্যন্ত মানব-শৃঙ্খল তৈরি করেন, যা সকলকে মুগ্ধ করেছে।



কলকাতার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এখন নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। রাতের অন্ধকার কাটিয়ে উঠে দিনের আলো ফুটতে শুরু করেছে, আর ঠিক সেই সময় ফিয়ার্স লেনে জাতীয় সংগীত গেয়ে উঠলেন আন্দোলনরত ডাক্তার ও পুলিশকর্মীরা। সকলেই একসঙ্গে গাইলেন ‘জন গণ মন অধিনায়ক জয় হে’, যা যেন নতুন সকাল আনার সুর বাজিয়েছে। পুলিশও জুনিয়র ডাক্তারদের জল দিয়ে সহযোগিতা করল এবং তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিল।

পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ জুনিয়র ডাক্তারদের

যদিও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা সন্তোষজনক কোনও উত্তর পাননি। তাঁরা জানিয়েছে, কমিশনারের কাছে ইস্তফা-সহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়েছে।

মেরুদণ্ড ‘উপহার’ জুনিয়র ডাক্তারকে

স্মারকলিপি তুলে দেওয়ার সময় কমিশনারের সামনে একটি প্রতীকী মেরুদণ্ডও রাখা হয়েছিল, যা জুনিয়র ডাক্তাররা মালা পরিয়ে কমিশনারকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন।

‘একদিনে হবে না, কিন্তু একদিন হবেই…’

এদিকে, পুলিশের সহযোগিতার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ অফিসার আন্দোলনকারীদের হাতে জল ও ছোট প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন। একজন নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, ‘লালবাজারে এখন এক অন্য ছবি..।’ অপর একজন বলেছেন, ‘একদিনে হবে না। কিন্তু একদিন হবেই…’।

মানবন্ধনের সাক্ষী থাকল কলকাতা

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীরা উল্টোডাঙা থেকে পাটুলি পর্যন্ত মানব-শৃঙ্খল তৈরি করেছেন, যা নেটিজেনদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একজন বলেছেন, ‘সাক্ষী থাকলাম এক অভূতপূর্ব মানব-বন্ধনের। বিচার চাইছে মানুষ এক সুরে।’

জাতীয় সংগীত কি করে ডাক্তার ও পুলিশকে একত্রিত করেছে?

জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে ডাক্তার ও পুলিশ নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতার অনুভূতি তৈরি করেছে।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে জাতীয় সংগীত গাওয়ার গুরুত্ব কি?

জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে সবাই একত্রিত হয় এবং সংঘাত কমে আসে, যা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে।

এই উদ্যোগে ডাক্তার ও পুলিশ কীভাবে অংশগ্রহণ করছে?

ডাক্তার ও পুলিশ একসাথে জাতীয় সংগীত গেয়ে একে অপরকে সম্মান এবং সহযোগিতার বার্তা দিচ্ছে।

জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় কি ধরনের অনুভূতি প্রকাশ পায়?

জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় সবাই একসাথে হয়ে গর্বিত ও আবেগপ্রবণ অনুভব করে।

এই উদ্যোগের ফলে সমাজে কি পরিবর্তন আসবে?

এটি সমাজে সহযোগিতা ও সংহতি বৃদ্ধি করবে, ফলে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।

মন্তব্য করুন