সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি: দুর্নীতির মামলায় নতুন মোড়

News Live

সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি: দুর্নীতির মামলায় নতুন মোড়

সিবিআই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় তার গ্রেফতারির পর আরও তিনজনকে, বিপ্লব সিনহা, আফসার আলি এবং সুমন হাজরাকে ধরা হয়। সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর তৃণমূল কংগ্রেসের দেবাংশু ভট্টাচার্য জানান, তিনি খুন এবং ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হননি, বরং দুর্নীতির জন্য। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও মন্তব্য করেন, তদন্ত সিবিআই করছে এবং এই বিষয়ে দলের কোনো বক্তব্য নেই। তরুণী চিকিৎসকের বাবা সন্দীপ ঘোষের ফাঁসি দাবি করেছেন এবং আরও অপরাধীদের প্রকাশ্যে আনার আশা প্রকাশ করেছেন।



আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করার পর বিপ্লব সিনহা, আফসার আলি এবং সুমন হাজরাকেও আটক করা হয়। জানা গেছে, সন্দীপের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সুমন, আর বিপ্লব ও আফসার ছিলেন হাসপাতালের ভেন্ডর। তারা দুজন হাসপাতালে জিনিসপত্র সরবরাহ করতেন। তবে সিবিআই এখনও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করেনি।

সন্দীপের গ্রেফতারি নিয়ে দেবাংশু

সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর তৃণমূল কংগ্রেসের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন, ‘সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন, যা দারুণ খবর। তবে মনে রাখতে হবে, তিনি খুন এবং ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হননি, বরং দুর্নীতির অভিযোগে।’

কুণাল ঘোষ কী বললেন?

তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে যাঁরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইছেন, তাঁদের বলছি যে তদন্ত সিবিআই করছে এবং সন্দীপ বা তাঁর আইনজীবীরা এর উত্তর দিতে পারবেন। দলের কোনও বক্তব্য নেই।’

তরুণী চিকিৎসকের বাবা কী বললেন?

সন্দীপের গ্রেফতারির পর তরুণী চিকিৎসকের বাবা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সন্দীপ ঘোষের ফাঁসি হোক। আরও অনেকে জড়িত আছেন। যা হয়েছে, ভালো হয়েছে। এখনও খুশি হওয়ার মতো কিছু হয়নি।’

সিবিআই কী কারণে RG কর দুর্নীতি মামলায় কাজ করছে?

সিবিআই RG কর দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে কারণ সেখানে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এবং তারা সত্যতা যাচাই করতে চাইছে।

সন্দীপ ঘোষের সঙ্গী হিসেবে কারা ধরা পড়েছেন?

সন্দীপ ঘোষের সঙ্গী হিসেবে সিবিআই আরও ৩ জনকে ধরেছে, কিন্তু তাঁদের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

এই মামলায় সিবিআই কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে?

সিবিআই তদন্তের অংশ হিসেবে গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদ এবং বিভিন্ন প্রমাণ সংগ্রহ করছে।

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা কি মামলা চলাকালীন জামিন পেতে পারেন?

হ্যাঁ, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করতে পারেন, তবে তা আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।

এই মামলার পরিণতি কী হতে পারে?

মামলার পরিণতি আদালতের উপর নির্ভর করে এবং যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে দণ্ডিত হতে পারেন।

মন্তব্য করুন