গরুর মাংসের অভিযোগে বৃদ্ধকে মারধর: ট্রেনে বিতর্কিত হামলা

মহারাষ্ট্রের নাসিকে ট্রেনে গরুর মাংস নিয়ে চলাচল করার অভিযোগে এক বৃদ্ধকে হামলার শিকার হতে হয়েছে। পাঁচ যুবক কর্তৃক এই হামলার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় বৃদ্ধ হাজি আশরফ মুনিয়ার অভিযোগ করেছেন যে, তিনি ছাগলের মাংস নিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু হামলাকারীরা তা মানেনি। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তবে রবিবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এর আগে হরিয়ানাতে গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে এক যুবক খুন হওয়ার ঘটনাও ঘটেছিল, যা সমাজে দাঙ্গা এবং সহিংসতার একটি নতুন দিক তুলে ধরেছে।



নাসিকে ট্রেনে গরুর মাংস নিয়ে মারধরের ঘটনা

মহারাষ্ট্রের নাসিকে ট্রেনে গরুর মাংস নিয়ে ভ্রমণের অভিযোগে এক বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পাঁচ রেলযাত্রীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকে বিতর্ক শুরু হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনার শুরু হয় বসার জায়গা নিয়ে এক যুবক এবং বৃদ্ধের মধ্যে বাদানুবাদ থেকে। এক সহযাত্রী অভিযোগ করেন যে, বৃদ্ধ গরুর মাংস নিয়ে যাচ্ছেন। এরপরই শুরু হয় গালাগালি এবং মারধর। বৃদ্ধ বারবার দাবি করেন যে, তিনি ছাগলের মাংস নিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু হামলাকারীরা তার কথা শুনতে রাজি হননি।

এই ঘটনা ঘটে যখন ট্রেনটি মহারাষ্ট্রের ইগতপুরীর কাছে ছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে, থানায় মামলা রুজু হয়েছে, কিন্তু রবিবার পর্যন্ত কোনও গ্রেফতার হয়নি। নিগৃহীত বৃদ্ধের নাম হাজি আশরফ মুনিয়ার, তিনি জলগাঁওয়ের বাসিন্দা। ট্রেনে করে কল্যাণে মেয়ের কাছে যাওয়ার সময় তিনি এই হামলার শিকার হন। পুলিশ হামলাকারীদের শনাক্তকরণের চেষ্টা করছে।

এদিকে, এ ধরনের ঘটনাটি নতুন নয়। এর আগে হরিয়ানায় গরুর মাংস খাওয়ার ‘অপরাধে’ বাংলার এক যুবককে খুন করা হয়, যার নাম সাবির মল্লিক। তার পরিবারের অভিযোগ, গোরক্ষা কমিটির সদস্যরা তাকে মারধর করে হত্যা করেছে। এই ধরনের সহিংসতা সমাজে চাপা আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

এভাবে ট্রেনের মধ্যে এমন সহিংসতার ঘটনা আমাদের সমাজের এক অন্ধকার দিককে তুলে ধরছে, যেখানে ধর্ম ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে মানুষকে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।

প্রশ্ন ১: ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে?

উত্তর: ঘটনাটি নাসিকের একটি ট্রেনে ঘটেছে।

প্রশ্ন ২: বৃদ্ধকে কেন মারধর করা হলো?

উত্তর: বৃদ্ধকে গরুর মাংস নিয়ে যাওয়ার কারণে মারধর করা হয়েছিল।

প্রশ্ন ৩: অভিযুক্তদের কি হয়েছে?

উত্তর: অভিযুক্ত পাঁচজন এখনও অধরা রয়েছেন, তাদের গ্রেফতার করা হয়নি।

প্রশ্ন ৪: কি ধরনের মামলা দায়ের হয়েছে?

উত্তর: পুলিশের পক্ষ থেকে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রশ্ন ৫: এটি সমাজে কি প্রভাব ফেলতে পারে?

উত্তর: এ ধরনের ঘটনা সমাজে সহিংসতা বাড়াতে পারে এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সংকটে ফেলতে পারে।

Leave a Comment