আরজি কর কাণ্ড: সুকান্তের বিস্ফোরক অভিযোগ, তৃণমূলের পালটা কটাক্ষ

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যে তীব্র উত্তেজনা চলছে। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের উল্লেখ বাদ দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে সুকান্তের এই অভিযোগকে অস্বীকার করা হয়েছে এবং তাকে গল্প তৈরির অভিযোগ করা হয়েছে। ৯ অগস্ট, আরজি করের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার তদন্তে সিবিআই নিযুক্ত হয়েছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়নি। রাজ্য সরকারকে নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।



আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য: বিজেপি সাংসদের বিস্ফোরক দাবি

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যে সারা জুড়ে চলেছে বিক্ষোভ ও মিছিল। তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে তদন্তের সময় নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কথা উল্লেখ না করার জন্য চিকিৎসকদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে পালটা সুকান্তকে কটাক্ষ করা হয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে যে, এটি তাঁর বানানো গল্প।

গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কলকাতা পুলিশ এই ঘটনায় সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে, এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। যদিও ২১ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও সিবিআই দ্বিতীয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নির্যাতিতার পরিবার প্রথম থেকেই অভিযোগ করছে যে, তাঁদেরকে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টও এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।

সুকান্ত মজুমদার ধর্মতলায় একটি ধর্না কর্মসূচিতে বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্টের শেষ লাইনে লেখা ছিল ধর্ষণ হয়েছে, কিন্তু সেই লাইনটি বাদ দিতে চেয়েছিল সন্দীপ ঘোষ এন্ড কোম্পানি।” এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, সুকান্ত মজুমদার গল্প তৈরি করছেন এবং ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভুল তথ্য দিচ্ছেন।

সুকান্ত মজুমদারের দাবি কী?

সুকান্ত মজুমদার বলছেন, চিকিৎসকদের PM রিপোর্ট থেকে ধর্ষণের কথা বাদ দিতে বলা হয়েছিল।

PM রিপোর্ট কি?

PM রিপোর্ট হলো পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট, যা মৃত্যুর কারণ এবং বিভিন্ন তথ্য জানান দেয়।

এই দাবির প্রভাব কী হতে পারে?

এটি সমাজে আলোড়ন ফেলতে পারে এবং ধর্ষণ সংক্রান্ত বিচার ব্যবস্থায় সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারে।

সরকারের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে?

সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তদন্ত করতে পারে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।

এটি কি নতুন একটি ঘটনা?

এটি একটি নতুন দাবি, তবে ধর্ষণ ও তার বিচার নিয়ে বাংলাদেশে আগেও অনেক আলোচনা হয়েছে।

Leave a Comment