বিদিপ্তা ও বিরসার জীবনে ঋতুপর্ণ ঘোষের স্মৃতি ও ন্যায় বিচারের লড়াই

বিরসা দাশগুপ্ত সম্প্রতি বিদিপ্তা ও তাঁর কন্যা মেঘলাকে নিয়ে একটি আবেগপূর্ণ স্মৃতি শেয়ার করেছেন। তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মদিনে বিয়ের ছবিসহ স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, “শুভ জন্মদিন ঋতুদা। তোমার অভাব অনুভব করছি।” বিরসা ও বিদিপ্তা বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে সোচ্চার, বিশেষ করে আরজি কর কাণ্ডের বিচার দাবিতে। ঋতুপর্ণ ঘোষের অঙ্গীকার ও সাহসিকতার প্রশংসা করে বিরসা জানিয়েছেন, “ঋতুদা কখনো ভয় পেতেন না।” তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে অবদান রেখেছেন এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রেরণা হয়ে থাকবেন। রবিবার তারা ধর্মতলায় একটি মহামিছিলেও অংশগ্রহণ করবেন।



বিরসা দাশগুপ্তের স্মৃতিতে ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মদিন

বয়সে বড় ডিভোর্সী তথা এক সন্তানের মা বিদিপ্তার সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করেছেন বিরসা দাশগুপ্ত। বিরসার পরিবার বিদিপ্তা ও তাঁর কন্যা মেঘলাকে ভালোবেসে গ্রহণ করেছে। কিছুদিন লিভ ইন করার পর, তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই বিশেষ দিনে টলিউডের খ্যাতনামা পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মদিন উপলক্ষে বিরসা তার বিয়ের স্মৃতিতে ডুব দিয়েছেন।

শনিবার, ৩১শে অগস্ট ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মবার্ষিকী। বেঁচে থাকলে আজ পরিচালক ৬১ বছরে পা দিতেন। রাজা দাশগুপ্ত ও চৈতালি দাশগুপ্তের সঙ্গে ঋতুপর্ণের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল, তাই তার চলে যাওয়া বিরসার জন্য খুবই বেদনাদায়ক। এই কঠিন সময়ে বিরসা ঋতুপর্ণকে অনেক বেশি মিস করছেন।

বিরসা তার বিয়ের ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন ঋতুদা। যদি তুমি এই কঠিন সময়ে এখানে থাকতে! তোমার অভাব বোধ করি।’ ছবিতে দেখা যায়, বিরসা বিয়ের শেরওয়ানিতে এবং তার পাশে গোলাপি শাড়িতে বিদিপ্তা উজ্জ্বল হয়ে রয়েছেন। ঋতুপর্ণের পাশেও বিরসার মা চৈতালি দাশগুপ্ত রয়েছেন।

শুরু থেকেই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার রয়েছেন বিরসা ও বিদিপ্তা। তারা ন্যায় বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন। বিরসা আনন্দবাজারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘ঋতুদা কাউকে ভয় না পেয়ে কারও পক্ষ না নিয়ে কথা বলতেন। তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন এবং সঠিক কথা বলার জন্য কখনো পিছপা হতেন না।’

ঋতুপর্ণ ঘোষ বাংলা চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য পরিচিত। তিনি টলিউডে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও নিজের ছাপ রেখে গেছেন। বিরসার বাবা রাজা দাশগুপ্তের সঙ্গে কাজ করে ঋতুপর্ণের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। রবিবার ‘আমরা তিলোত্তমা’ থেকে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত একটি মহামিছিলের আহ্বান করা হয়েছে, যেখানে বিরসা ও বিদিপ্তা উপস্থিত থাকবেন।

১. বিরসার ‘কঠিন সময়ে বড্ড মিস করছি তোমায়…’ মানে কি?

এটা বিরসার একটি আবেগপূর্ণ উক্তি যেখানে তিনি কঠিন সময়ে ঋতুপর্ণকে খুব মনে করেন।

২. বিরসার সঙ্গে ঋতুপর্ণের সম্পর্ক কেমন ছিল?

তাদের সম্পর্ক ছিল খুব গভীর এবং বিশেষ, বন্ধুত্বের পাশাপাশি অনেক সুন্দর স্মৃতি ছিল।

৩. বিরসা কেন ঋতুপর্ণকে স্মরণ করছেন?

বিরসা কঠিন সময়ের মধ্যে ঋতুপর্ণের অভাব অনুভব করছেন এবং সেই স্মৃতিগুলো ভাগ করতে চাইছেন।

৪. এই উক্তি থেকে কি বোঝা যায়?

এই উক্তি থেকে বোঝা যায় যে, বন্ধুত্বের সম্পর্কের মধ্যে কতটা আবেগ এবং স্নেহ থাকে।

৫. বিরসার এই অনুভূতি কি সাধারণ?

হ্যাঁ, এমন অনুভূতি সাধারণ, বিশেষ করে যখন আমরা আমাদের প্রিয় মানুষদের মিস করি।

Leave a Comment