কঙ্গনার ‘এমার্জেন্সি’: ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায় এবং বিতর্কের কেন্দ্রে

কঙ্গনা রানাওয়াতের নতুন ছবি ‘এমার্জেন্সি’ মুক্তির পর থেকেই আলোচনা ও বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। এই ছবিতে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক জীবনের বিতর্কিত অধ্যায় তুলে ধরা হয়েছে। কঙ্গনা শুধু অভিনেত্রী নন, তিনি ছবির প্রযোজক ও পরিচালকও। সম্প্রতি তিনি জানান, সিনেমাটি এখনও সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন পায়নি এবং শংসাপত্রের জন্য অপেক্ষা করছেন। কঙ্গনা বলেন, ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে কিছু ইতিহাসের সত্য তুলে ধরা না হয়। ‘এমার্জেন্সি’ ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার ঘটনাবলী নিয়ে নির্মিত, যা দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের অন্ধকার সময়কে চিহ্নিত করে। ছবিটি ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে।



কঙ্গনা রানাওয়াতের নতুন ছবি ‘এমার্জেন্সি’ মুক্তির পর থেকেই আলোচনা চলছে। ছবিটি নিয়ে বিতর্কের কারণ হল কঙ্গনার রাজনৈতিক পরিচয়। তিনি এখন বিজেপির সাংসদ, যা ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে। এই ছবিতে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সবচেয়ে বিতর্কিত সময়কে তুলে ধরা হয়েছে। কঙ্গনা এখানে শুধু প্রধান চরিত্র নয়, তিনি ছবির প্রযোজক এবং পরিচালকও। আরও পড়ুন-‘ইন্দিরাই ইন্ডিয়া…’, ইন্দিরা গান্ধীর জমানার ‘অন্ধকার ইতিহাস’ নিয়ে পর্দায় কঙ্গনা, রইল এমার্জেন্সির ট্রেলার

সম্প্রতি কঙ্গনা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে জানান, ছবিটি এখনও সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন পায়নি। তিনি বলেন, ‘অনেক গুজব ছড়িয়েছে যে আমার ফিল্ম এমার্জেন্সি সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়ে গেছে। এটি সত্য নয়। আমাদের ছবিটি সিবিএফসির তরফে প্রাথমিকভাবে ছাড়পত্র পেলেও সেন্সর সার্টিফিকেট আটকে দেওয়া হয়েছে, কারণ সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সেই কারণে শংসাপত্রটি বিলম্বিত হচ্ছে।’

দেশের এই অবস্থার জন্য দুঃখিত

কঙ্গনা আরও জানান, তাঁদের উপর চাপ রয়েছে যাতে ইতিহাসের সত্য আখ্যান পর্দায় তুলে ধরা না হয়। তিনি বলেন, ‘মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা, ভিন্দ্রাওয়ালে হত্যাকাণ্ড এবং পাঞ্জাব দাঙ্গা ছবিতে চিত্রিত না করার জন্য চাপ দিচ্ছে। ফলে প্রশ্ন জাগে- ছবিতে আসলে কী দেখাতে পারব? …. এটা আমার জন্য অবিশ্বাস্য সময় এবং এই দেশের অবস্থার জন্য আমি খুবই দুঃখিত।’

‘এমার্জেন্সি’ ছবিতে কঙ্গনার পাশাপাশি অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়স তালপাড়ে, বিষক নায়ার এবং প্রয়াত সতীশ কৌশিকও অভিনয় করেছেন। ছবিটি ১৯৭৫ সালে ভারতের জরুরি অবস্থার সময়কে কেন্দ্র করে নির্মিত। এই সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিলেন, যা আজও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। চলতি বছর ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে। কঙ্গনা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, এই ছবি ইন্দিরা গান্ধীর বায়োপিক নয়।

কঙ্গনা রানাউতের অভিযোগ কি?

কঙ্গনা বলেছেন, তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং তার সিনেমার এমার্জেন্সি সেন্সর সার্টিফিকেট আটকে রাখা হয়েছে।

এই সমস্যার জন্য কঙ্গনা কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

কঙ্গনা বিভিন্ন মাধ্যমে এই বিষয়টি জানাচ্ছেন এবং সরকারের কাছে সাহায্য চাচ্ছেন।

এমার্জেন্সি সিনেমার বিষয়টা কি?

এমার্জেন্সি কঙ্গনার পরিচালনায় একটি সিনেমা, যেখানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

কঙ্গনার নিরাপত্তা নিয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

কঙ্গনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা চলছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখতে বলেছে।

এই হুমকির পেছনে কি কারণ থাকতে পারে?

কঙ্গনা তার রাজনৈতিক মতামত এবং বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে হুমকির শিকার হতে পারেন।

Leave a Comment