চটকল শ্রমিকদের জন্য আশার আলো: কেন্দ্রের সহায়তা পাচ্ছেন তারা

বাংলার জুটমিলগুলির বন্ধ হওয়ার ঘটনা নতুন নয়, বিশেষ করে দুর্গাপুজোর আগে শ্রমিকরা বিপাকে পড়ে। কিন্তু এবার ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিকের প্রচেষ্টায় আশার আলো দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার পাটজাত দ্রব্যের বরাত বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা চটকল শ্রমিকদের জন্য সুখবর। পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন, জুট ব্যাগের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি বরাতের পরিমাণ ১০০ শতাংশ করা হবে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে দোষারূপ করলেও, পার্থ ভৌমিক সংসদে বারবার জুট শিল্পের জন্য আওয়াজ তুলেছেন। কেন্দ্রের সহযোগিতায় জুটমিলগুলির পুনরুজ্জীবনের পথে একটি নতুন সূচনা হতে চলেছে, যা শ্রমিকদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।



বাংলার জুটমিলগুলোর জন্য নতুন আশার আলো

বাংলায় জুটমিল বন্ধ হওয়ার ঘটনা খুবই সাধারণ। যেকোনো সময় সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়ে চটকল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বিপাকে ফেলে দেয়। বিশেষ করে দুর্গাপুজোর আগে এই ধরনের ঘটনা শ্রমিকদের জন্য অনেকটাই কঠিন হয়ে ওঠে। তবে এবার ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিকের প্রচেষ্টার ফলে চটকল শ্রমিকদের জন্য কিছু আশার আলো দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারও সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা আজ সাংবাদিক বৈঠকে জানান তিনি।

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে একের পর এক জুটমিল বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, এবং রাজ্য সরকার এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করছিল। যদিও কিছু জুটমিল রাজ্য সরকারের উদ্যোগে খোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, সবগুলো মিল খোলা সম্ভব হচ্ছিল না। চটকল মালিকদের দাবি, উৎপাদন থেকে লাভ হচ্ছে না বলেই তারা বন্ধের পথে হাঁটছেন। পার্থ ভৌমিক ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে, জিতে গেলে এই বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এবার কেন্দ্রের সহযোগিতায় সেই সমাধানের পথ বেরিয়ে এসেছে।

রাজ্য সরকারের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিমাণ পাটজাত দ্রব্য রাজ্যের জুটমিল থেকে নিত, সেটি কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে চটকলগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘আমি কথা দিয়েছিলাম সাংসদ হলে জুটমিলগুলোর জন্য ব্যবস্থা করব। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছি। অবশেষে পাটজাত দ্রব্য নিয়ে কেন্দ্র একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, যা শ্রমিকদের জন্য সুখবর।’

নবনির্বাচিত সাংসদ পার্থ ভৌমিক জুটশিল্পকে বাঁচানোর লক্ষ্যে নিয়মিত সংসদে আওয়াজ তুলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণায় বলা হয়েছে, জুট ব্যাগের বরাতের পরিমাণ ১০০ শতাংশ করা হবে এবং জুট ব্যাগের দাম বাড়ানোর কথাও জানানো হয়েছে। পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘আমি খুশি। তবে এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখার জন্য আমরা নজর রাখব।’

১. জুট ব্যাগের বরাতের পরিমাণ ১০০ শতাংশ কেন করা হচ্ছে?

জুট ব্যাগের বরাতের পরিমাণ ১০০ শতাংশ করার কারণ হলো পরিবেশ রক্ষা এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো।

২. এই সিদ্ধান্তে সাংসদ পার্থ কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন?

সাংসদ পার্থ এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন এবং এটা দেশের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

৩. জুট ব্যাগের ব্যবহারে কি সুবিধা রয়েছে?

জুট ব্যাগ ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণ কম হয় এবং এগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য হওয়ার কারণে দীর্ঘমেয়াদে সস্তা।

৪. সরকার কি অন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে পরিবেশ সুরক্ষায়?

হ্যাঁ, সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে যেমন জুট উৎপাদন বাড়ানো এবং প্লাস্টিকের বিকল্প তৈরি করা।

৫. সাধারণ মানুষ এই পরিবর্তনে কিভাবে সহযোগিতা করতে পারে?

মানুষকে জুট ব্যাগ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে।

Leave a Comment