মমতার বিরুদ্ধে কিম জং উনের তুলনা: রাজনীতির অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। নাগরিক সমাজ এবং বিরোধীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন, যার ফলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ চলছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং মমতাকে উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের সঙ্গে তুলনা করেছেন, দাবি করে যে উভয়ের বিরোধিতা সহ্য করার ক্ষমতা নেই। মমতা এর আগে বলেছিলেন, তাঁর মন্তব্য বিজেপির উদ্দেশ্যে ছিল। বিজেপি নেতারা মমতার মন্তব্যকে সংবেদনশীল বলে অভিহিত করেছেন। মমতা প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে বলেন, বাংলায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রীও মমতাকে নিশানা করেছেন, হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন বিভাজনমূলক ভাষা ব্যবহার না করতে।



আরজি কর কাণ্ডে মমতার বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা

রাজ্যে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। নাগরিক সমাজ থেকে শুরু করে বিরোধীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এবং অভিযুক্তদের আড়াল করার অভিযোগ করছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতাদের তীব্র সমালোচনা চলছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং মমতাকে উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

গিরিরাজ সিং মন্তব্য করেছেন যে, “মমতা এবং কিম উভয়েই বিরোধিতা সহ্য করতে পারেন না,” এবং তিনি বাংলায় চলমান অস্থিরতার জন্য মমতার মন্তব্যকে গণতান্ত্রিক শাসকের ভাষা হিসেবে অস্বীকার করেছেন। মমতা আগেই স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে, তাঁর মন্তব্য বিজেপির উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল, প্রতিবাদকারীদের উদ্দেশ্যে নয়।

বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা জানান, মমতার মন্তব্য আন্দোলনকারীদের অপমান করেছে এবং তিনি ন্যায়বিচারের দাবি করার ক্ষেত্রে অশান্তি সৃষ্টি করছেন। অন্যদিকে, মমতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, তিনি বাংলায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছেন।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মমতাকে নিশানা করে বলেছেন, “দিদি, অসমকে হুমকি দেওয়ার সাহস কীভাবে হল?” এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়ছে, এবং সকলের নজর এখন মমতার পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।

গিরিরাজ সিং কেন কিম জং উনের সঙ্গে মমতার তুলনা করেছেন?

গিরিরাজ সিং বলছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কিম জং উনের মধ্যে কিছু মিল রয়েছে। তারা উভয়েই নিজেদের রাজ্যে বিশেষভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে চান।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কিম জং উনের মিল কী?

মমতা এবং কিম উভয়েই নিজের রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করতে এবং বিরোধীদের দমন করতে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করেন।

এটি কি রাজনৈতিক মন্তব্য?

হ্যাঁ, এটি একটি রাজনৈতিক মন্তব্য যা দলের অবস্থান এবং ক্ষমতা রক্ষার প্রসঙ্গে এসেছে।

গিরিরাজের এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া কেমন?

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই মন্তব্য নিয়ে আলোচনা করছেন এবং অনেকেই এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।

এ ধরনের মন্তব্যের কারণে কি রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলাতে পারে?

এ ধরনের মন্তব্য রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলতে পারে, তবে সময়ই বলবে যে এটি واقعی কেমন প্রভাব ফেলবে।

Leave a Comment