কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ: দুষ্কৃতীর আত্মীয়কে রেশন ডিলারশিপ নয়!

News Live

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ: দুষ্কৃতীর আত্মীয়কে রেশন ডিলারশিপ নয়!

কলকাতা হাইকোর্ট রেশন দোকানের ডিলারশিপ এবং বেসরকারি স্কুলের অনুমোদনের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। আদালতের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেছেন, মালিক বা তার আত্মীয় যদি স্বীকৃত সমাজবিরোধী হয়, তাহলে তাদের ডিলারশিপ দেওয়া উচিত নয়। এক মামলায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন যে, তার এলাকায় একটি রেশন দোকান খোলার প্রয়োজন। কিন্তু শুনানিতে উঠে এসেছে যে, আবেদনকারীদের মধ্যে একজন স্বীকৃত দুষ্কৃতীর স্ত্রী। আদালত বলেছে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তে জনগণের আস্থা কমে যায়। রাজ্য সরকারকে ভবিষ্যতে এই নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ: রেশন ডিলারশিপের জন্য সমাজবিরোধী সংক্রান্ত পরীক্ষা

রাজ্য সরকারের রেশন ডিলারশিপ এবং বেসরকারি স্কুলের অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়ায় মালিক বা তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা সমাজবিরোধী কি না, তা খতিয়ে দেখতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর গ্রামের এক বাসিন্দা রেশন দোকান খোলার আবেদন করেছিলেন। তিনি জানান, তাঁর বাড়ি থেকে নিকটবর্তী রেশন দোকানের দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার, যা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। মামলার শুনানিতে জানা যায়, আবেদনকারী চারজনের মধ্যে একজন স্বীকৃত দুষ্কৃতীর স্ত্রী। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, কেন একজন চিহ্নিত দুষ্কৃতীর স্ত্রীকে বিবেচনার মধ্যে রাখা হবে। রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, স্বামী দুষ্কৃতী হলে স্ত্রী ডিলারশিপ পেতে পারেন না, এমন কোনও আইন নেই।

প্রধান বিচারপতি একটি ভিনরাজ্যের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, সেখানেও এক দুষ্কৃতীর আত্মীয়কে বেসরকারি স্কুলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ ব্যাপক গণবিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি রাজ্য সরকারকে সতর্ক করে দেন যে, ভবিষ্যতে রেশন ডিলারশিপ দেওয়ার সময় এই নির্দেশনা মাথায় রাখতে হবে।

এমন নির্দেশনার ফলে সমাজের মধ্যে প্রশাসনের প্রতি আস্থা বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে।

প্রশ্ন ১: দুষ্কৃতীর স্ত্রীকে রেশনের ডিলারশিপ দিতে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে?

উত্তর: আদালত বলেছে যে দুষ্কৃতীর স্ত্রীকে রেশনের ডিলারশিপ দেওয়া উচিত নয়, কারণ এটি সমাজে ভুল বার্তা পাঠাবে।

প্রশ্ন ২: আদালতের এই সিদ্ধান্তের পেছনে কি কারণ রয়েছে?

উত্তর: আদালত মনে করে যে দুষ্কৃতীর স্ত্রীকে সুযোগ দিলে অন্যরা বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য উৎসাহিত হতে পারে।

প্রশ্ন ৩: এই সিদ্ধান্তের ফলে কি পরিবর্তন হবে?

উত্তর: এই সিদ্ধান্তের ফলে সমাজে নৈতিকতা বজায় থাকবে এবং বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা যাবে।

প্রশ্ন ৪: দুষ্কৃতীর স্ত্রীকে রেশনের ডিলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন কি?

উত্তর: আপাতত আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিনি আবেদন করতে পারবেন না।

প্রশ্ন ৫: ভবিষ্যতে কি এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে?

উত্তর: আদালত আশা করে যে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা কম হবে এবং যারা অপরাধ করছে তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন