গুজরাটের বন্যা: বিপর্যয়ের প্রহর গুনছে দক্ষিণাঞ্চল


গুজরাটে ভারী বৃষ্টির কারণে রাজ্যের কিছু নিম্নভূমি এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (IMD) এই পরিস্থিতির জন্য ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৃষ্টিপাতের ফলে স্থানীয় জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়েছে এবং মানুষজনের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের কারণে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।



গুজরাটে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বন্যা

সম্প্রতি দুই দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে গুজরাটের কিছু অংশ পানিতে ডুবে গেছে, যা শত শত মানুষের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করেছে। বিশেষ করে নাভসারী জেলায় তীব্র বন্যা দেখা দিয়েছে, যার ফলে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (IMD) সোমবার, ২৬ আগস্ট জেলাটির জন্য “লাল সতর্কতা” জারি করেছে।


Flood in Gujarat's Navsari

গুজরাটের নাভসারীতে বন্যার পরিস্থিতি।(এএনআই)

নাভসারী জেলা কালেক্টর কshipা এস আগ্রে জানিয়েছেন, “২৫ ও ২৬ আগস্ট নাভসারী জেলার জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সর্বাধিক ৫২৭ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, কিন্তু এতে কোনো ক্ষতি হয়নি। পানির স্তর বিপজ্জনক সীমার উপরে রয়েছে।”

নিরাপত্তার জন্য স্থানান্তর

বন্যার কারণে অনেক মানুষ নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ প্রতিকার বাহিনী (NDRF) এর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তারা ভলসাদ জেলার খানজান পালিয়া অঞ্চলে একটি ব্যক্তি উদ্ধার করছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন যেন তারা নিম্নাঞ্চল থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যান।

জীবনযাত্রার উপর প্রভাব

অবিরাম বৃষ্টির কারণে নাভসারী এবং ভলসাদ জেলার নিম্নাঞ্চলগুলিতে প্রচুর মানুষকে নিরাপত্তার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ভাপি তালুকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩২৬ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা রাজ্যের সর্বাধিক।

গুজরাটের ২০৬টি জলাধারের মধ্যে ৩.৬৪ লাখ মিলিয়ন ঘনফুট জল ধারণ করা হচ্ছে, যা তাদের মোট ক্ষমতার ৬৫ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে।

গুজরাটে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কি পরিস্থিতি?

গুজরাটের নিম্নাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির ফলে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

IMD কি ধরনের সতর্কতা জারি করেছে?

IMD ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে, যা খুবই গুরুতর অবস্থার সংকেত দেয়।

নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জন্য কি করণীয়?

নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে এবং সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে বলা হয়েছে।

বন্যার কারণে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে?

বন্যার কারণে ক্ষতি হতে পারে ঘরবাড়ি, ফসল এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায়।

সরকার কি পদক্ষেপ নিচ্ছে?

সরকার উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সাহায্য পাঠাচ্ছে।

Leave a Comment