ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় নুসরতের পর নাম জড়িয়েছে আরও এক অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রর। তাঁর নাম জড়ানো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন রূপলেখা।
সেভেন সেন্স কাণ্ডে নুসরত জাহানের পর এবার আরও এক অভিনেত্রীকে তলব এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। এবার তলব করা হল, এককালীন অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রকে। ইডি সূত্রে খবর, সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিডেটের ডিরেক্টর পদে ছিলেন ওই অভিনেত্রী। চলছে নানা জল্পনা। নুসরত জাহানের পর রূপলেখার নাম জড়াতেই একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। টেলিভিশনের পর্দায় বা বিগ স্ক্রিনে কোথাওই তো তাঁকে দেখা যায় না। তাহলে ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় অভিযুক্তকে অভিনেত্রী তকমা কেন দেওয়া হচ্ছে? অমেকের মনেই জাগছে এই প্রশ্ন। আসলে একটা সময় লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনই ছিল তাঁর জগৎ। এখন সবকিছু থেকে দূরে গিয়ে নিজের ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছেন। এই সময় ডিজিটালের তরফে রূপলেখার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এই প্রসঙ্গে কী মত তাঁর?
অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্র বলেন, ‘২০১৭ সালে আমি সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিডেট থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আর আমি সাইনিং অথরিটি ছিল না। কোনও জায়গায় জমি কেনার সময় যখন মউতে সই করা হয়েছিল তখন তো আমাকে ডাকা হয়নি। আমি তো ব্যবসার কাজ শিখব বলে ওই সংস্থায় জয়েন করেছিলাম। কিন্তু, পরে বুঝলাম কিছুই লাভ হচ্ছে না। তাই ইস্তফা দিয়েছিলাম। এখন তো নিজের ব্যবসা আছে।’
রূপলেখার সংযোজন, ‘আমি বুঝতেই পারছি না আমার নাম এত বছর পর কী ভাবে জড়াল। ২০১৭-তেই তো তাহলে আমার নাম উঠে আসত। এখন যা হচ্ছে সেটা পরিস্থিতির শিকার। ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিলাম। তবে ইডি-কে আমি সম্মান করি নিশ্চয়ই যাব। কিন্তু, এত বছর আগের কাগজপত্র খুঁজতে তো একটু সময় লাগবে। আমি এতদিন জানতাম, ইডি বড় মাথাদের লক্ষ্য করে। এখন তো দেখছি মাটির কাছে নেমে এসেছে।’
রূপলেখার মন্তব্য, ‘২০১১-তে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের ইচ্ছে ছবিতে কাজ করেছিলাম। এরপর দু-একটি ছবিতে কাজ করেছি। কিন্তু, আমার খুব একটা ভালো লাগে না। তাই প্রায় পাঁচ বছরের বেশি সময় গ্ল্যামারাস দুনিয়া থেকে দূরে রয়েছি। নিজের ছোট ব্যবসা নিয়েই বেশ ভালো আছি। তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে তো আমাকে আইনের উপরই ভরসা রাখতে হবে। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের মাথায় তো রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়া নেই।’
ইচ্ছে খ্যাত অভিনেত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা তো আমার আর আমার পরিবারের কাছে খুবই হেনস্থাকর একটি বিষয়। যদিও বাবা-মা জানে আমি কোনও দিন এই রকম কোনও কাজ করতে পারি না। তাঁদেরও তো বয়স হয়েছে। দেখা যাক আগামী দিনে কী হয়। ‘