শনিবার দুপুর গড়াতেই হঠাৎ চমক উইনডোজ প্রোডাকশন হাউজ থেকে। অঙ্কুশ হাজরাকে দেখেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের। কোনও সারপ্রাইজ আছে বৈকি। গানের ক্যাপশনে দেওয়া, ‘ফ্রম হাওড়া টু বর্ধমান/ গয়া টু কাশী/ মেইন লাইন কর্ড লাইন/ ওগো মেসো আর মাসি/ সকলে জানে রে কেউ কিছুই বলে না/ কেন গোবিন্দ দাঁত মাজে না!’
ভাবতে পারছেন একজন মানুষ সে নাকি দাঁত মাজে না। এও কী সম্ভব। চলতি বছর পুজোয় আসতে চলেছে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের ছবি রক্তবীজ। একের পর এক চমক ছবি ঘিরে এসেই চলেছে। এক একটা পোস্টার-টিজার দেখেই ইতিমধ্যেই মুগ্ধ দর্শক। রীতিমতো দিন গুণছেন ছবি মুক্তির। ছবির গল্পে যেমন রয়েছে চমক, ঠিক তেমনই পরতে পরতে সারপ্রাইজ। অভিনেতা-অভিনেত্রীর তালিকাও বেশ চমকপ্রদ।
একদিকে যখন মিমি চক্রবর্তী ও আবীর চট্টোপাধ্যায় পুলিশের ভূমিকায় নজর কাড়বেন সকলের, ঠিক তখনই বাংলা ছবিতে আবারও ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতাকে দেখতে পাওয়ার লোভ সামলাতে সত্যিই পারছেন না বাঙালি। সবমিলিয়ে পুজোর আমেজে একঝাঁক নস্ট্যালজিয়া ফুটিয়ে তুলতে প্রস্তুত রক্তবীজ।
লাল পাঞ্জাবী সাদা ধুতি আর গলায় গামছা দিয়ে মঞ্চ মাত করছেন অঙ্কুশ। যেমন নাচ সঙ্গে তেমনই এক্সপ্রেশন। এককথায় জমে ক্ষীর। নেটদুনিয়ায় অঙ্কুশের এই চমক দেখে সকলেই মুগ্ধ। অনেকেই তাঁর প্রশংসা করে বলছেন, ‘অঙ্কুশের থেকে ভালো ডান্সার খুব কম আছে ইন্ডাস্ট্রিতে।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘আচ্ছা এই জন্যই কয়েকদিন ধরে এত দাঁত মাজার কথা চলছিল। ভীষণ ভালো আইটেম নম্বর। দারুণ হিট হবে।’
এবার পুজোর ‘বাম্পার হিট’ বলেও অনেক ভক্ত ইতিমধ্যেই মনে করছেন। দেখতেই হবে এমন পুজো মণ্ডপের তালিকার পাশাপাশি রক্তবীজকেও ‘মাস্ট ওয়াচ’ তালিকায় রেখেছেন সকলে। তবে একের পর চমক তো আসছেই। এরপর কী? সেই অপেক্ষায় দর্শকও।