মঞ্চে এলেন হেমন্ত-লতা-সন্ধ্যা। দেবজ্যোতি মিশ্রের ভাবনায় সলিল চৌধুরীকে নিয়ে মিউজিক্যাল থিয়েটার মঞ্চস্থ হল সানফ্রান্সিসকোতে।
গানের রানার তিনি, একদিন গানের আকাশে অনেক গানের পাখি উড়িয়েছিলেন, সুরের নানা আঙিনায় অবাধ বিচরণ ছিল ওঁর। ভালবাসার গান, জীবনে সঙ্গবদ্ধ হওয়ার গান, গণ আন্দোলনের গান নানা বিষয়ের আঙিনায় ওঁর বিচরণ ছিল স্বপ্রতিভ। শিক্ষক দিবস, ৫ সেপ্টেম্বর সলিল চৌধুরী প্রয়াত হন। তাঁর সঙ্গীত সফরের সঙ্গী হিসেবে দীর্ঘদিন সহযোগী -যন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন দেবজ্যোতি মিশ্র।
সলিল চৌধুরীর জন্ম শতবর্ষ আসন্ন। তার সূত্রপাত যেন হয়ে গেল সানফ্রান্সিসকোর বে শহরে বঙ্গ মেলায়। সলিল চৌধুরীর জীবনভিত্তিক একটা মিউজিক্যাল থিয়েটার সম্প্রতি সেই শহরে উপস্থাপিত হল। নাম জীবন উজ্জীবন। সম্পূর্ণ চিত্রনাট্য লিখেছেন, সঙ্গীতাংশের দায়িত্বে ছিলেন দেবজ্যোতি মিশ্র। চল্লিশ মিনিটের নাটকে উঠে এসেছে আসামের চা বাগান থেকে ওঁর মুম্বই সফর। গানে কখনও ‘দো বিঘা জমিন’, কখনও ‘আনন্দ’ ছবির ‘জিন্দেগী ক্যায়সি পেহেলি’, কখনও ‘মধুমতী’, ‘না মন লাগে না’, ‘এই দুনিয়ায় ভাই সবই হয়’, ‘পথে এবার নামও সাথী’ থেকে ‘আহ্বান শোনো আহ্বান’।
মঞ্চে চরিত্র হয়ে উঠে এসেছেন সলিল চৌধুরী, লতা মঙ্গেশকর, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, ঝড়ুয়া, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। নাটকটি নির্দেশনা করেছেন অনিন্দ্য চক্রবর্তী। গানের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন এবং তাঁর দল। নৃত্য পরিচালনা করেন চান্দ্রেয়ী মুখোপাধ্যায়, শিজ্ঞিনী গুপ্ত, ডালিয়া সেন। সলিল চৌধুরীর ভূমিকায় নজর কাড়েন সব্যসাচী বসু, ঝড়ুয়া -সায়নী রায়, লতা মঙ্গেশকর -চান্দ্রেয়ী মুখোপাধ্যায়, রাজ কাপুর ও চ্যাপলিন – পিনাকী মুখার্জি, ছবি বিশ্বাস – অনির্বাণ মাইতি, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় – অনিরুদ্ধ ব্যানার্জি, বিমল রায় – সৌমেন ঘোষ।
দেবজ্যোতি মিশ্র বললেন ,” সলিল চৌধুরীকে নিয়ে তাঁর একটা জীবন ভিত্তিক মিউজিক্যাল থিয়েটার করার কথা মাথায় আসে। এ কথা সানফ্রান্সিসকোর বে অঞ্চলের ডালিয়া চ্যাটার্জি সেন জানতে পেরে এই প্রযোজনাটার কথা ভাবেন। এবং অনিন্দ্য চক্রবর্তী নাটকটি পরিচালনা করেন।এই প্রযোজনাটি আরও বড় করে কলকাতায় এবং অন্যান্য শহরে পরিবেশন করব। সম্ভবত এ দেশে এটাই প্রথম সলিল চৌধুরীর জীবন ভিত্তিক কোনো মিউজিক্যাল থিয়েটার সৃষ্টি করা হলো।”