ড্রাগের নেশা বা ড্রাগের অপব্যবহারের ফলে সারা বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের মেরুদণ্ড ভেঙে পড়ছে। কত মানুষের যে প্রাণ যাচ্ছে। এর প্রভাব বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও পড়েছে। সুশান্ত শিং রাজপুতের মৃত্যুর সময়ে সেই মাদকসেবন নিয়ে প্রচুর কাঁটাছেঁড়া হয়েছে। সঞ্জয় দত্তের জীবনীচিত্রও সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছিল। সম্রাট রায়ের স্বল্পদৈর্ঘের ছবিতে সেই বিষয়টিকেই তুলে ধরা হয়েছে। এই বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে মানুষকে সজাগ করে তুলতে চেয়েছেন সম্রাট।
ইতিমধ্যেই এই শর্ট ফিল্মটি বেশ কিছু ফেস্টিভ্যালে বেস্ট মাইক্রো ফিল্ম এবং বেস্ট সোশ্যাল ফিল্ম-এর পুরস্কার জিতে নিয়েছে। ওয়েস্টবেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সম্রাট রায় সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন এই ছবির জন্য। এই ছবির দৈর্ঘ মাত্র এক মিনিট। আর এক মিনিটের মধ্যে এরকম বিষয়কে তুলে ধরা খুবই কঠিন কাজ। সম্রাট সেই কাজটিই করে দেখালেন মাত্র এক মিনিটে।
ছবিটির নাম বিজয়। ১৯৯৪ সালের এক জাতি স্তরের বর্ষ সেরা ফুটবলার ড্রাগ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে নির্বাসিত হয়। ফলে তারপর তার কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়। এখন সে অসুস্থ, হুইল চেয়ারে বসেই দিন কাটে তাঁর। সেখানেই দেখানো হচ্ছে ড্রাগের অপব্যাবহারের ফলে তরুণ প্রজন্মের কত ক্ষতি হচ্ছে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সম্রাট রায়। গল্প ইন্দ্রজিতের। প্রমিত দাসের ক্যামেরা। এডিটিংয়ের দায়িত্বে প্রদীপ দাস, মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রতন দাস। ছবিটি প্রযোজনা করেছে গ্রিন হার্ট প্রোডাকশন।